দেখুন TV9 বাংলার নতুন নিউজ সিরিজ ‘পায়ে পড়ি বাঘ মামা!’। ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, রবিবার রাত ১০ টায়

কলকাতা, ১৬ ফেব্রুয়ারি: বনবিবির থান বাংলার দক্ষিণে। জল জঙ্গলে ঘেরা সুন্দরবনে। সুন্দরবনের মানুষ বনবিবির সঙ্গে পুজো করেন দক্ষিণরায়ের। দক্ষিণরায়। দ্য রয়েল বেঙ্গল টাইগার। সুন্দরবনে যিনি দক্ষিণরায়, জঙ্গলমহলে তিনিই বাঘুত। কার্তিক মাসে বাদনা পরবে বাঘুতের পুজো হয়। জঙ্গলমহলের মূলবাসীদের গোয়ালে হয় পুজোর আয়োজন। মাঘ মাসের প্রথম দিনে জঙ্গলমহলের পাড়াগাঁয়ে বাঘের পুজো করার রেওয়াজ বহুদিনের। ষোড়শ শতকে কৃষ্ণদাস কবিরাজ লেখেন চৈতন্য চরিতামৃত। সেই বইয়ে উল্লেখ আছে চৈতন্যের যাত্রাপথের। জঙ্গলমহলের ভিতর দিয়ে যাওয়ার পথে পালে পালে বাঘ হাতির উল্লেখ আছে। জঙ্গলমহলের সবচেয়ে প্রচলিত লোকক্রীড়া ছিল বাঘ-ছাগল ও বাঘবন্দী। আর বাঘ বললে, আমাদের বিদ্যাসাগরের রাখাল বালকের কথা তো মনে পড়েই। বাস্তবে কিন্তু রাখাল বালকের মতো প্রতিদিন পালে বাঘ পড়ে। সত্যিকারের বাঘ। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, জঙ্গলমহল আর সুন্দরবন। প্রতিদিন জঙ্গল ছেড়ে বাঘ ঢুকছে লোকালয়ে। বাঘের থাবায় মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ছেন মানুষ কাজের খোঁজে গিয়ে, লোকালয় থেকে বাঘ মানুষ, গবাদি পশু তুলে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কেন প্রায়শই ঘটছে এই ঘটনা? বাঘের সংখ্যা বাড়ছে নাকি বন জঙ্গল কমছে? জঙ্গলে কি খাবার খুঁজে পাচ্ছে না বাঘ তাই কি সহজ শিকারের খোঁজে তার ঠিকানা এখন লোকালয়? বাঘের থাকার জায়গা কতটা বিপন্ন? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই গ্রাউন্ড জিরোয় অন্তর্তদন্ত ও বিশেষজ্ঞদের TV9 বাংলার নতুন নিউজ সিরিজ ‘পায়ে পড়ি বাঘ মামা!’। ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, রবিবার রাত ১০ টায়।

Leave a Reply