জাহিরুল হক (রাজা মাস্টার),
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার পক্ষ থেকে কেতুগ্রাম এবং মঙ্গলকোটের অন্যতম দুটি সতীপীঠ কেতুগ্রামের অট্টহাস এবং মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রাম থেকে দুটি এস বি এস টি সি বাস উদ্বোধন করা হয়। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী,কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনেওয়াজ,এস বি এস টি সি এর চেয়ারম্যান এবং প্রাক্তন বিধায়ক সুভাষ মন্ডল, মঙ্গলকোট পঞ্চায়েতের উপপ্রধান চন্দন সরকার,ছাড়াও মঙ্গলকোট ও কেতুগ্রাম এর বিডিও সাহেব, মঙ্গলকোট থানার আইসি, মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মুন্সি রেজাউল হক,জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ মেহেবুব চৌধুরী সহ বিভিন্ন পঞ্চায়েতের প্রধান ও অন্যান্য আধিকারিকরা।একটি বাস কেতুগ্রামের অট্টহাস সতীপীঠ থেকে ছেড়ে মঙ্গলকোটের মা মঙ্গলচন্ডীর সতীপীঠ হয়ে ভায়া গুসকরা হয়ে কলকাতা যাবে।অন্যটি মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রাম সতীপীঠ থেকে কৈচর হয়ে কলকাতা যাবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 2011 সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে পরিবহন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছেন।বাঙলার বিভিন্ন প্রান্তে তিনি বাসের মাধ্যমে যাতায়াত ব্যবস্থাকে সহজ করে দিয়েছেন। কেতুগ্রামের অট্টহাস ও মঙ্গলকোটের দুটি সতীপীঠ ক্ষীরগ্রাম এবং মা মঙ্গলচন্ডী সতীপীঠে দূর-দূরান্ত থেকে বিশেষ করে কলকাতা,হুগলি হাওড়া,দুই 24 পরগনা থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ এখানে পুজো দিতে আসেন। এই দুটি বাস চালু হওয়াতে তাদের সতীপীঠ দর্শনে অনেক সুবিধা হলো বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। কেতুগ্রামের বিধায়ক ও মঙ্গলকোটের বিধায়ক উভয়ই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন । ভবিষ্যতে কেতুগ্রাম এবং মঙ্গলকোট থেকে যাতে বিভিন্ন রুটে সরকারি বাস চালু হয় তার ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এস বি এস টি সির চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল বলেন,মঙ্গলকোট এবং কেতুগ্রাম থেকে আপাতত দুটি সরকারি বাস দেওয়া হল, ভবিষ্যতে যদি এর সফলতা আসে,তাহলে আরো অনেক সরকারি বাস মঙ্গল কোট ও কেতুগ্রাম থেকে বিভিন্ন রুটে চালু করা হবে। সাধারণ মানুষকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেন,এই দুটি সরকারি বাস চালু হওয়াতে সাধারণ মানুষের কলকাতা যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে তেমনি কলকাতা ও আশেপাশের ধর্মভীরু মানুষেরা তাদের উপাস্য দেবীর দর্শনে আরো সহজে আসতে পারবে।