দুই মেদনীপুরের সরকারি হাসপাতালে বেআইনীভাবে পাওয়া বরাত বাতিল করলো হাইকোর্ট
মোল্লা জসিমউদ্দিন ,
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে সরকারি হাসপাতালে বেআইনী বরাত সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলে। দুই মেদিনীপুরের সরকারি হাসপাতালগুলির নিরাপত্তার স্বার্থে কাজে লাগানো হয়েছিল একটি নির্দিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থাকে। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। বেআইনিভাবে ওই নিরাপত্তা এজেন্সি কাজ পেয়েছে বলে দাবি উঠেছে। এই মামলার জল গড়ায় হাইকোর্ট অবধি।এই মর্মে পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর এই দুই জেলায় ওই নিরাপত্তা এজেন্সির যাবতীয় বরাত বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট। ইতিমধ্যেই ওই সংস্থার নিরাপত্তারক্ষীদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই এজেন্সিকে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাগুলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদেরও।মামলাকারীর দাবি, -‘ টেন্ডার অনুযায়ী, দুই মেদিনীপুরের হাসপাতালগুলির নিরাপত্তামূলক কাজের দায়িত্ব পাওয়ার কথা ‘এমএম সিকিউরিটিস’-এর। তাঁরাই এই কাজের প্রকৃত প্রাপক। কিন্তু তাঁদের এই কাজের বরাত দেওয়া হয়নি। গত ২১শে অক্টোবর একটি নোটিস দিয়ে বাদ দেওয়া হয় ওই সংস্থাটিকে’। আপাতত সেই নোটিসও স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালত জানতে চেয়েছে যে ওই সংস্থা বরাত পেয়েছিল কিভাবে? কোন পদ্ধতিতে, কিসের ভিত্তিতে এবং কার সুপারিশে তাদের ওই বরাত দেওয়া হয়েছে! এর নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে? তা খতিয়ে দেখা হবে। এর পাশাপাশি কেন এমন একটি নোটিস দেওয়া হয়েছিল? কলকাতা তা হলফনামা আকারে জানাতে হবে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। অভিযোগ, বৈধ পদ্ধতি মেনে ওই টেন্ডার পাশ করানো হয়নি। দুই জেলার হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই মামলায় মঙ্গলবার হাইকোর্ট জানায়, -‘বিধি মেনে যে ওই সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি, তা প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত’। হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা দত্ত পালের নির্দেশ, -‘টেন্ডারে উত্তীর্ণ ব্যক্তিকে কাজে বহাল রেখে অসফল ঠিকাদারদের কাজ দেওয়ার নির্দেশ এখনই বাতিল করতে হবে।’ ঘটনার ফলস্বরূপ বৈধ উপায়ে দায়িত্ব পাওয়া ‘এমএম সিকিউরিটিস’-এর নিরাপত্তারক্ষীদের কাজে লাগানো হবে খুব শীঘ্রই বলে জানা গেছে ।পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা এজেন্সিকে বেআইনি ভাবে কাজের বরাত দেওয়ার অভিযোগ। বরাত বাতিল করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই এজেন্সির নিরাপত্তা রক্ষীদের হাসপাতাল থেকে দ্রুত সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাগুলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদেরও।