দিল্লির বাঙালি কলোনি উচ্ছেদে স্থগিতাদেশ আদালতের, জয় দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস
নিজস্ব প্রতিবেদক,
দেশের রাজধানীতে আইনি লড়াইয়ে স্বস্তি পেল একাংশ বসবাসকারী বাঙালি । দিল্লির জয় হিন্দ কলোনিতে উচ্ছেদ অভিযানে স্থগিতাদেশ দিল দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্ট। আদালতের এই নির্দেশকে বিজেপির ‘বাঙালি বিরোধী’ আগ্রাসনের যোগ্য জবাব হিসাবে দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস।ল্লির জয়হিন্দ কলোনিতে বসবাসকারী বাংলাভাষীদের উচ্ছেদের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডলে টুইট করে এ কথা জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। আদালতের এই নির্দেশকে তাদের লড়াইয়ের বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল। ভিনরাজ্যে বাংলাভাষী ভারতীয়দের হেনস্থার বিরুদ্ধে তাদের লড়াই চলবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল। ক্রমাগত উচ্ছেদের হুমকি, জল-বিদ্যুৎ বন্ধ। সমস্যায় জর্জরিত বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার তাঁদের হয়ে সরব হয়েছেন। তৃণমূলের প্রতিনিধিদলও ওই এলাকায় গিয়ে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে এসেছে। দরকারে বাসিন্দাদের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানায় রাজ্যের শাসকদল। সংসদেও বিষয়টি তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।দিল্লির বসন্তকুঞ্জের ওই এলাকার জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদ। ২০২৪ সালে ওই এলাকা থেকে বাসিন্দাদের বিদ্যুৎ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লির এক আদালত। অভিযোগ, বেআইনিভাবে এলাকায় বসবাস করছেন স্থানীয়রা। আদালতের সেই নির্দেশের ভিত্তিতেই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে দিল্লি পুলিশ। কিন্তু ওই এলাকার বাসিন্দারা পালটা আদালতের দ্বারস্থ হন। সেই মামলাতেই স্বস্তি পেলেন বাসিন্দারা। আদালত জানিয়ে দিল, ওই এলাকায় আপাতত উচ্ছেদ অভিযান চালানো যাবে না। সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে সে খবর পোস্ট করে বিজেপিকে বিঁধেছে তৃণমূল কংগ্রেস।দিল্লির অভিজাত বসন্তকুঞ্জ এলাকার পাশেই রয়েছে জয়হিন্দ কলোনি। সেখানে বসবাসকারীদের মধ্যে বেশিরভাগের বাড়ি বাংলার কোচবিহারে। জয়হিন্দ কলোনির বাংলাভাষীদের হেনস্থার অভিযোগ তুলে কয়েকদিন আগে সরব হয় তৃণমূল। ওই কলোনির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল।তৃণমূলের প্রতিনিধিরা জয়হিন্দ কলোনিতে গিয়ে সেখানকার বাংলাভাষীদের সঙ্গে দেখা করেন। সেই প্রতিনিধি দলে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ, সুখেন্দুশেখর রায়, দোলা সেন এবং সাকেত গোখলে। সেখানকার বাংলাভাষীদের নিয়ে ২৪ ঘণ্টার জন্য ধরনায়ও বসেছিলেন তাঁরা।জয়হিন্দ কলোনিতে বসবাসকারী বাংলাভাষীদের অভিযোগ, বাংলায় কথা বলার জন্য তাঁদের হেনস্থা করা হচ্ছে। তাঁরা বলেন, কয়েকমাস আগে দিল্লি পুলিশ ওই কলোনিতে বসবাসকারী সবার পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখেছিল। তখন কোনও বাংলাদেশি বা রোহিঙ্গা পাওয়া যায়নি।পাতিয়ালা হাউস কোর্টের নির্দেশকে তুলে ধরে এক্স হ্যান্ডলে তৃণমূল লিখেছে, ন্যায়ের জন্য লড়াইয়ে এটা বড় পদক্ষেপ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলাভাষী ভারতীয়দের ন্যায়ের জন্য তৃণমূলের লড়াই পুরোদমে চলবে বলে বাংলার শাসকদল জানিয়েছে। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপিকেও কটাক্ষ করে তারা। আদালতের নির্দেশের কথা এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন সাগরিক ঘোষও। তিনি লেখেন, -‘প্রত্যেক বাংলাভাষী ভারতীয়র ন্যায়ের জন্য তৃণমূলের এই লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রথম ধাপ এই স্থগিতাদেশ’।