দলবদলের পর বাবুল এলেন নবান্নে দিদি কে দেখা করতে
সেখ নিজাম আলম,
গত শনিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিয়েছেন গায়ক বাবুল সুপ্রিয়। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন নানান কথা।সোমবার দুপুরে এলেন নবান্নে দিদি কে দেখা করতে, সাথে ছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দুপুর আড়াইটের কিছু পরে নবান্নে পৌঁছান একদা নরেন্দ্র মোদী সরকারের দু’বারের মন্ত্রী। রবিবারের সাংবাদিক সম্মেলনে বাবুল বলেছিলেন, – ‘তিনি প্লেয়িং ইলেভেনে থাকতে চান। বিজেপি তাঁকে রিজার্ব বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছিল। তৃণমূল তাঁকে মা-মাটি-মানুষ একাদশে জায়গা দিয়েছে। তাই তিনি এখন তৃণমূলের হয়েই খেলবেন।’তবে বাবুল নবান্নে পৌঁছতেই সকলেরই কৌতূহল তৈরি হয়েছে, দিদি তাঁকে কী খাওয়াবেন। কয়েক বছর আগে মমতার গাড়িতে বসে বাবুলের ঝালমুড়ি খাওয়া এবং কলকাতায় চক্কর কাটার গল্প রাজনৈতিক চর্চার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে । তাই অনেকেরই কৌতূহল বাবুলের জন্য কি ঝালমুড়ি অপেক্ষা করছে নবান্নে? তা স্পষ্ট হবে পরে। তবে বাবুলের সঙ্গে মমতার কী কথা হল তাও গুরুত্বপূর্ণ। এই কয়েক দিন আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিদি তো দূরের কথা কটাক্ষ করে বাবুল বলতেন পিসি! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভাইপো বলতেই স্বচ্ছন্দ ছিলেন আসানসোলের এই সাংসদ। তবে ফুল বদলের সঙ্গে তাঁর সম্বোধনও বদলে গিয়েছে। আগের দিন অভিষেকই বাবুলের গলায় জোরাফুলের উত্তরীয় পরিয়ে দিয়েছিলেন। এদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকই নবান্নে নিয়ে গিয়েছেন মমতার সঙ্গে দেখা করাতে। বাবুল নিজেই নিজের গাড়ি চালিয়ে গিয়েছিলেন। পাশে সওয়ার ছিলেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। এদিন নবান্ন থেকে তিনটে নাগাদ বের হন বাবুল। তিনি বলেন, -‘লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে সময় চেয়েছেন। বুধবারই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেব। তবে অধ্যক্ষ এখনও আমায় সময় দেননি’। সেইসঙ্গে বাবুল জানান, -‘এদিন দিদির সঙ্গে তাঁর অনেকক্ষণ কথা হয়েছে। মন খুলে কাজ করতে পারব তৃণমূলে’। এখন দেখার তৃণমূল কংগ্রেস বাবুল সুপ্রিয় কে কিভাবে রাজনৈতিক পুনবাসন দেয়?