দক্ষিণেশ্বরের দিব্যাঙ্কা গড়ল ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস
তথ্য ও ছবি সুবল সাহা ৷
আর পাঁচটা শিশুর মতই প্রথম পাঠ শুরু হয়েছিল বাবা-মায়ের হাত ধরে। কিন্তু সে যে অন্যান্য শিশুর মত নয়, তা বুঝতে পেরেছিলেন বাবা-মা। একেবারে কচি বয়সেই মুখস্থ বিদ্যা এবং স্মরণ-শক্তির অসামান্য উদাহরণ দেখিয়েছিল ছোট্ট মেয়ে দিব্যাঙ্কা ভট্টাচার্য্য।দক্ষিণেশ্বরের শিক্ষক পরিবারের একরত্তি দিব্যাঙ্কা তার সেই অসামান্য প্রতিভার জোরে ঢুকে পড়ল ইতিহাসের পাতায়। মাত্র তিন বছর দুই মাস বয়সে জায়গা করে নিল ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস-এ।
কি এমন প্রতিভা এবং কেনই বা ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস গড়ল সে? জানা যায়, বাবা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য্য ও মা সহেলি দেবী ছোট বয়সেই দিব্যাঙ্কাকে প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ দেওয়ার সময় তার মধ্যে স্মরণ-শক্তির প্রতিভার সন্ধান দেখতে পান। পরবর্তীতে সেই সংখ্যা যত বাড়তে থাকে, অবাক হয়ে তাঁরা যোগাযোগ করেন ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের সাথে। সেই মত অনলাইন পরীক্ষায় বসতে হয় দিব্যাঙ্কাকে। সকলকে তাক লাগিয়ে কর্তৃপক্ষের নেওয়া পরীক্ষায় অসামান্যতার ছাপ রেখে দিব্যাঙ্কা বলতে পেরেছে ৮ জন বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের নাম, ১৩ ধরণের বাদ্যযন্ত্র, ১২ ধরণের রঙ, ৯ রকমের আকৃতি, ৬ রকম ফুল, ১৪ রকম ফল, ৬৫ রকমের পশু, ২৫ রকমের পাখি, ১০ রকমের মাছ, ৯ ধরণের পতঙ্গ, ১৪ ধরণের খাবার, ২১ ধরণের যানবাহন, ১০ রকমের মেডিকেল ও ১৭ রকমের ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি, ২৭ টি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নাম ছাড়াও ইংরেজি বর্ণমালা, সপ্তাহ, মাস , বছরের নাম এবং ইংরেজি-বাংলা মিলিয়ে ১৯টি ছড়া ও ৫টি কবিতা। স্বল্প বয়সে এমন বিরল প্রতিভার সম্মান সূচক ‘ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস’ গড়ে দক্ষিণেশ্বরের দিব্যাঙ্কা ভট্টাচার্য্য এখন সকলের নয়নের মণি হয়ে উঠেছে।
তার এই সম্মানপ্রাপ্তিতে খুশি হয়েছে গোটা পরিবার ও পাড়া প্রতিবেশীরা। দিব্যাঙ্কার উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিয়ে কি চিন্তা ভাবনা রয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে বাবা-মা-দাদু বলেন, “সকলের আশীর্বাদকে পাথেয় করে সে যেন প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে পারে, সেটাই আমাদের কাম্য”।
ছবি: সুবল সাহা