তালিবানি সন্ত্রাস সামনে রেখে উত্তরপ্রদেশে ভোট; কপিল সিব্বল
এস.মন্ডল,
গত ১৫ আগস্ট থেকে আফগানিস্তান দখলে নিয়েছে তালিবান। এখনো ভারতের অবস্থান স্পষ্ট নয়, তবে তালিবানি সন্ত্রাস কে সামনে রেখে উত্তরপ্রদেশে ভোটপ্রচারে নামতে পারে বিজেপি।এইরকম আশংকা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল এর।শুক্রবার টুইট করে এমনই বললেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল। তিনি বলতে চেয়েছেন, তালিবান সংকটকে ব্যবহার করে উত্তরপ্রদেশে ভোটে ফয়দা তুলতে চাইছে বিজেপি। এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এখনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি মোদীর দল। তবে গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে তালিবান নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাষ্ট্রদূত টি এস তিরুমূর্তি।তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মহলকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করুক তালিবান। আফগানিস্তান যেন আগামী দিনে লস্কর-ই-তৈবা এবং জৈশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠনের অবাধ বিচরণভূমি না হয়ে ওঠে। তাঁর কথায়, ‘আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এখন খুবই অস্থিতিশীল।’ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘আফগানিস্তানের মাটি থেকে কেউ যেন অন্য দেশকে হুমকি না দেয়। কাউকে আক্রমণ না করে। সেখানে যেন জঙ্গিদের আশ্রয় না দেওয়া হয়। কোনও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ না দেওয়া হয়।’ রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি তিরুমূর্তি বলেন, ‘গত মাসে কাবুল বিমান বন্দরে যে হামলা হয়েছে, তা খুবই নিন্দনীয়। আফগানিস্তানে এখনও সন্ত্রাসবাদের বিপদ রয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের কাছে তালিবান যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা তাদের রক্ষা করা উচিত।’ এর আগেও তালিবান নিয়ে বিজেপি সরকারের অবস্থানের সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, দোহায় তালিবানের প্রতিনিধির সঙ্গে সরকার কথা বলতে পারে, অথচ দেশের যে হাজার হাজার কৃষক কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করছেন, তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারে না। কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য, আফগান জনগণের উন্নয়নই তার লক্ষ্য। নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে তিরুমূর্তি জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের ৩৪ টি প্রদেশে ৫০০ টি উন্নয়নমূলক প্রকল্প চালাচ্ছে ভারত। গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনেও আফগানিস্তান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। ব্রিকসের মঞ্চ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘আফগানদের নানা পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসা হোক। ওই দেশে ফিরে আসুক স্থিতিশীলতা, শান্তি ও আইনের শাসন।’ একইসঙ্গে ব্রিকসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আফগানিস্তানে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া উচিত। বিশেষত নারী, শিশু ও সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার রক্ষা করা প্রয়োজন।’ তবে উত্তরপ্রদেশে উগ্র সাম্প্রদায়িকতা কে নিয়ে ভোটের আসরে নামতে চলেছে বিজেপি, এইরকম দাবি কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল।