‘ডিএলএড পাশেরা চাকরি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে’, জানালো কলকাতা হাইকোর্ট
মোল্লা জসিমউদ্দিন ,
শুক্রবার ডিএলএড চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০২২-এর প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ‘ন্যাশানাল ইন্সটিউট অফ ওপেন স্কুলিং’ থেকে পাশ করা শতাধিক চাকরিপ্রার্থী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে। এদিন স্পষ্ট জানাল হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, -‘প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ চাকরিপ্রার্থীদের নথি যাচাই করবে।তারপর আরও একটি মেধা তালিকা তৈরি করবে। এরপর চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগে অংশ গ্রহণের ব্যবস্থা করে দেবে পর্ষদ’। শুক্রবার শুনানি চলার পর এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের। উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালে ১১ হাজার ৭৬৫টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেইখানে কাদের অংশগ্রহণ কতটা বৈধ? তা নিয়ে ওঠে বিস্তর প্রশ্ন। পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় আইনী জটিলতা তৈরি হয়। পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, -‘টেট উত্তীর্ণ এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডিএলএড প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। আর যাঁরা ডিএলএড কোর্সে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন তাঁরা আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু কোর্স তাঁদের শেষ করতেই হবে’। এদিকে, সেই সময় যাঁদের ডিএলএড ছিল না তাঁদের মধ্যে একশো জনের মতো সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ন্যাশানাল ইন্সস্টিটিউট অব ওপেন ট্রেনিং স্কুলিং থেকে ডিএলএড শুরু করেন। শেষ সুপ্রিম কোর্ট তাঁদেরও নিয়োগে অংশ নেওয়ায় অনুমোদন দেয়। এরপর শতাধিক প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। মামলাকারীদের দাবি, -‘পর্ষদ ৩০ মে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তাতে বলা হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে মামলাকারীরাই আবেদন করতে পারবেন’। তাঁদের দাবি, পর্ষদের এই সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী।এই মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য স্পষ্ট জানিয়ে দেন, -‘ন্যাশনাল স্কুলিং অফ ওপেন স্কুলিং থেকে স্নাতক হয়েছেন তাঁরা সকলেই চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে’। নিয়োগের ক্ষেত্রে ডিএলএড প্রশিক্ষণে পাশ করা বাধ্যতামূলক। ২০১৪ টেট পরীক্ষার সময় এই বিষয়টি বাধ্যতামূলক ছিল না বলেই শীর্ষ আদালতের নির্দেশে জট তৈরি হয়। ২০১৪ সালের উত্তীর্ণ প্রার্থীরা তাই ২০২০ সালে ডিএলএড প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেন। তবে ২০২২-এ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও ওই চাকরি প্রার্থীরা ততদিনে ডিএলএড-এর শংসাপত্র হাতে পাননি। এর ফলে চাকরি প্রার্থীদের একাংশ আদালতে এ নিয়ে মামলা করে। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আইনী জট কাটলো।