ডাক্তারি পড়ুয়ার অ্যালোটমেন্ট লেটারে ছবি ভুল থাকায় ভর্তিতে সমস্যা, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের সহযোগিতায় ভর্তি
জাহির আব্বাস:
করোনা পরিস্থিতিতে মেডিক্যাল নিট পরীক্ষা থেকে শুরু করে রেজাল্ট পার করে কাউন্সেলিং নিয়ে চিন্তা যেন কাটতেই চাইছে না শিক্ষার্থীদের। এরই মাঝে জানা গেছে, ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সেলিং এর পক্ষ থেকে বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রীকে যে
অ্যালটমেন্ট লেটার দেওয়া হয়েছে সেখানে সমস্ত ডিটেলস ঠিক থাকা সত্ত্বেও ও এম আর এর ফটোকপিতে অন্য কারো ছবি। এমন ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের সিউড়ির বাসিন্দা আল-আমিন মিশনের মেধাবী ছাত্র মহ রবিউল ইসলাম এর ক্ষেত্রে। ফেব্রুয়ারি ১৪ তারিখে বের হওয়া অন লাইনে কলেজ অ্যালোটমেন্ট লেটারে সে দেখতে পায়, সেখানে অন্যান্য সব কিছু তথ্য ঠিক থাকলেও যে ছবিটি দেওয়া আছে সেটি তার নয়, অন্য একটি মেয়ের। বিষয়টি নিয়ে ছাত্রের অভিভাবক স্বাস্থ্য ভবন এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানানো হয়, এ বিষয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই, কলেজে গিয়ে ফটো সহ অরিজিনাল ডকুমেন্ট জমা দিলে কোন অসুবিধা হবে না। কিন্তু ভর্তির প্রথম দিনে শ্যামবাজারে নির্দিষ্ট মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে জানতে পারেন এই সমস্যা না মেটা পর্যন্ত তারা ভর্তি করতে পারবেন না। ফলে সঙ্গে সঙ্গে রবিউলের পিতা রেজাউল করিম আবার যোগাযোগ করেন স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে। সেখান থেকে জানানো হয়, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শীঘ্রই সমস্যা মিটে যাবে।এদিকে ছাত্র রবিউল ইসলাম ৪-৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর এই প্রতিবেদককে বিষয়টি জানালে, তিনি রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এর সঙ্গে তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ করেন এবং গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি শুনে তিনি ভর্তির ব্যাপারে আশ্বাস দেন। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্রটির সব তথ্য যাচাই করে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেন। এই ঘটনায় ছাত্রটির পরিবার ভীষণ খুশি এবং কৃতজ্ঞ মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এর কাছে।
এরপরই স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে রবিউল ইসলামের পাঠানো মেল এর রিপ্লাই আসে এবং এই একই রকম ভুলের ব্যাপারে যাতে অন্য কোনো মেডিকেলে পড়ুয়া ভর্তির ক্ষেত্রে বাধা না পায় সেজন্য পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসা শিক্ষা দপ্তর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। যেখানে বলা হয়েছে যে, কিছু শিক্ষার্থীর অস্থায়ী বরাদ্দ পত্রের (প্রভিশনাল অ্যালটমেন্ট লেটার) সাথে ও এম আর স্ক্যান করা ছবিতে অমিল রয়েছে। এই ধরনের প্রার্থীদের বরাদ্দকৃত কলেজে নথি যাচাইকরণের সময় সাম্প্রতিক একটি রঙিন পাসপোর্ট ফটো সঙ্গে আনতে হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষও লেটার এর পাঠ্য অংশটি যাচাই করে প্রার্থীর সাম্প্রতিক ছবির সাথে শিক্ষার্থীর নিট অ্যাডমিট কার্ড এবং র্যাঙ্ক কার্ডের ছবি মিলিয়ে নেবেন।তবে এই অমিলের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী রাউন্ড থেকে অ্যাডমিশন লেটার এবং অ্যালোটমেন্ট লেটারে প্রার্থীদের ও এম আর – এ স্ক্যান করা ছবি বাদ থাকবে। সূত্র মারফত জানা গেছে, সব কিছু তথ্য ঠিক থাকলে এমন শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে কোনো বাধা না দেওয়া হয় তার ব্যবস্থা কলেজ কর্তৃপক্ষকে করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।