ট্রাফিক পুলিশ কখন ড্রাইভিং লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করতে পারে? রাজ্য কে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ হাইকোর্টের
পারিজাত মোল্লা ,
আইনজীবী শুভাংশু পান্ডার দাখিল মামলায় বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট পথেঘাটে পুলিশের দাদাগিরি রুখতে কড়া দাওয়াই দিল। আইনভঙ্গ করার অভিযোগে রাস্তার মাঝে আটকে দেওয়া হয় গাড়ি। লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করার ঘটনাও নতুন নয়। এবার রাজ্যজুড়ে সেই ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। গাড়ির লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা সহ ওই সংক্রান্ত যাবতীয় বিধি লঙ্ঘন করলে কর্তব্যরত পুলিশের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা যেতে পারে, বৃহস্পতিবার এমনই সুপারিশ রাখলো কলকাতা হাইকোর্ট।লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করার কী নিয়ম আছে? তার জন্য ও ট্রাফিক বিধি কঠোরভাবে কার্যকরের জন্য রাজ্য ও কলকাতা পুলিশকে জোরাল প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে বলে সুপারিশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের বেঞ্চে ছিল এই মামলা। রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের হাতে হেনস্থার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল শুভাংশু পান্ডা নামে এক আইনজীবী। তাঁর দায়ের করা মামলাতেই এই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।আদালত সুত্রে প্রকাশ গত বছর কলকাতার এজেসি বোস রোড ও খিদিরপুর রোডের সংযোগস্থলে ওই আইনজীবীর গাড়ি আটকায় এক ট্রাফিক পুলিশ কর্মী। গত বছর মার্চ মাসের ঘটনা। অত্যাধিক গতিতে গাড়ি চালাবার অভিযোগে চালকের লাইসেন্সও কেড়ে নেওয়া হয়। সেই ঘটনার পরই মামলা দায়ের হয়। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ জানিয়েছে , -‘লাইসেন্স ফেরত দেওয়া হয়েছে’। তাই ওই মামলায় ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেয়নি হাইকোর্ট। কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে গোটা রাজ্যে ট্রাফিক পুলিশের প্রশিক্ষণ চায় আদালত।এর পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশ যাতে সাধারণ নাগরিকের সঙ্গে ভদ্র আচরণ করে, দায়িত্বশীল ও পেশাদার হয় সেই ব্যাপারেও সতর্ক করেছে রাজ্যের উচ্চ আদালত। হাইকোর্টের রায়ের এই কপি, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতা পুলিশের ডিসি ট্রাফিককে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।কার্যকর না হলে পরবর্তীতে আদালত অবমাননা মামলার হুশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।