‘টেটে ৩৯২৯ শুন্যপদে নিয়োগ হবে পুরাতন নির্দেশ মেনেই’, জানালো সুপ্রিম কোর্ট 

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ প্রাথমিকের শূন্যপদে নিয়োগ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করল। আদালত জানিয়েছে -‘আগেকার রায়ই বহাল থাকবে। ৩৯২৯ শূন্যপদে নিয়োগ হবে পুরনো নির্দেশ মেনেই। ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সঙ্গে যুক্ত হবে ওই শূন্যপদগুলি’।২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে দুই দফায় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ করে রাজ্য সরকার।২০১৬ এবং ২০২০ সালে। রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, -‘১৬ হাজার ৫০০ পদে নিয়োগ করা হবে’। কিন্তু ২০২০ সালে নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষে দেখা যায়, ৩৯২৯টি পদে তখনও নিয়োগ বাকি থেকে গিয়েছে। সেই নিয়োগ নিয়েই আইনী জটিলতা সৃষ্টি হয়। সেসময়  কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পদগুলিতে মামলাকারীদের মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন।তারপর কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের  নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যান ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণেরা। তাঁদের দাবি ছিল, -‘২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে নতুন নিয়োগের জন্য নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত। সেখানে শুধু ২০১৪ সাল নয়, ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদেরও সুযোগ দেওয়া উচিত:। সেই মামলার শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, -ওই শূন্যপদগুলির দাবিদার ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণেরাই। সেখানে ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা সুযোগ পাবে না।’কেন ৩৯২৯টি পদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁদের সুযোগ থাকবে না? সেই প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণেরা। ২০২৪ সালের মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট সেই মামলার রায়ে জানায়, -‘ভবিষ্যতের শূন্যপদের সঙ্গে ওই ৩৯২৯ পদটি যুক্ত করে দেওয়া হবে। সেখানে আবেদন করতে পারবেন টেট উত্তীর্ণরা’। অর্থাৎ সকলের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার দরজা খুলে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। যদিও সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছিল। ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের  দাবি,- কলকাতা  হাইকোর্টের রায়ই বহাল করা হোক’। মঙ্গলবার  সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চ সেই আর্জি খারিজ করে দেয়।শীর্ষ  জানায়, -‘সুপ্রিম কোর্টের পুরনো নির্দেশই বহাল থাকবে’।

Leave a Reply