ঝাড়খণ্ড বিধানসভা ভবনে নামাজঘর, বিতর্ক
ওয়াসিম বারি ,
এবার বিধানসভা ভবনের মধ্যে মুসলিম বিধায়কদের জন্য নামাজঘর গড়ে বিজেপির ক্ষোভের মুখে ঝাড়খণ্ড মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।এখানে জেএমএম ও কংগ্রেসের জোট সরকার চলছে। নামাজঘর গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে, বিধানসভা ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিয়েছে রাজ্য বিজেপি।প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় নমাজের জন্য আলাদা ‘নমাজ কক্ষ’ বরাদ্দ করেছে সরকার। রাজ্য সরকারের যুক্তি, অনেক সময় মুসলিম বিধায়করা অধিবেশনের মাঝপথে নমাজ পড়তে যান। যার ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে সমস্যা হয়। সেকারণেই বিধানসভার অন্দরে মুসলিম বিধায়কদের জন্য নমাজ পড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি রাজ্য বিজেপির।গণতন্ত্রের মন্দিরে বিশেষ ধর্মের জন্য উপাসনা কক্ষ কেন! মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে চলতি অধিবেশনের শুরু থেকেই বিধানসভা উত্তাল। দিন দুই আগেই বিধানসভা ভবনের সামনে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের কুশপুতুল পুড়িয়েছে বিজেপি । গত সোমবার দিনভর বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিজেপি বিধায়করা। গত সোমবার বিধানসভায় ঢোকার মুখেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেন বিজেপি বিধায়করা। কেউ কেউ হনুমান চালিশাও পাঠ করেন।রাজ্য বিজেপির দাবি, বিধানসভা কক্ষে যেমন নমাজের জন্য আলাদা কক্ষ তৈরি করা হয়েছে, তেমনই বড় হনুমান মন্দির তৈরি করতে হবে। অন্য ধর্মের উপাসনা কক্ষও তৈরি করতে হবে। আর না হয় নমাজ কক্ষটিকে সব ধর্মের প্রার্থনা কক্ষে পরিণত করতে হবে। যদিও, সেই প্রস্তাবে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী সোরেন। তাঁর বক্তব্য, ‘এতে কোনও সমস্যার সমাধান হবে না। ঈশ্বর সর্বত্র বিরাজমান। মন পরিষ্কার থাকলে এতে কারও সমস্যা থাকার কথা নয়। কূট মানসিকতা থাকলে সবকিছু নিয়েই সমস্যা হয়।’ এরপরই বিজেপি হুঁশিয়ারি দিয়েছে, অবিলম্বে ওই নমাজ কক্ষ বন্ধ না হলে বিধানসভা কক্ষ ঘেরাও করবে তারা।এখন দেখার বিজেপি এই রাজনৈতিক কর্মসূচি আর কতদিন চালায় ঝাড়খণ্ড এর বুকে?