ঝড়খালির রাস্তা জুড়ে ১০০টি বৃক্ষরোপণ

২৭শে জুলাই, রবিবার: প্রতিবছরের মতো এবছরও ১৪-২১শে জুলাই সপ্তাহে গোটা রাজ্য জুড়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বনমহৎসব পালিত হয়। রবিবার সকালে সুমনা এন্ড ফ্রেন্ডস নামে কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই বনমহৎসব উপলক্ষে প্রাপ্ত ১০০টি মেহগনির চারা রোপণ করে সুন্দরবনের বুকে। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত ব্লক বাসন্তীর ঝড়খালি ৩ নং বিদ্যাসাগর পল্লীর বিদ্যাধরী নদী বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় কয়েক কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে দুধারে মেহগনির চারা রোপণ করা হয়। এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের একাধিকবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন – আয়লা,ইয়াস,রেমাল ইত্যাদির শিকার হতে হয়েছে সুন্দরবন-কে। বিশেষজ্ঞদের মতে এমনটা ঘটার মূল কারণ অরণ্য কমে যাওয়া। সেকারণে দিনের পর দিন বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবও আরো বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচার উপায় একটাই, যত বেশি সম্ভব গাছ লাগানো। তাই সুন্দরবনের মায়েদের সাথে নিয়ে গাছ লাগানোর কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সুমনা এন্ড ফ্রেন্ডস । ইতি মধ্যে সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন প্রজাতির চারা রোপণ করেছে এই সংগঠন। এই সংস্থার সদস্য রূপম দাস বলেন, “পৃথিবীর অন্যতম জীববৈচিত্র্য -এর আঁতুড়ঘর হলো সুন্দরবন। সুন্দরবনের প্রকৃতিকে রক্ষা করতেই গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মা এবং ব্যাঘ্র বিধবা মায়েদের নিয়ে আমাদের এই নিঃশ্বার্থ প্রচেষ্টা। দীর্ঘ দিন ধরেই এই কাজটি আমরা করে আসছি। সংগঠনের চেয়ারম্যান সুমনা সেনগুপ্ত আরো যোগ করেন, “আমাদের সংগঠন শুধু বৃক্ষরোপণই নয়, আগামীতে সেই গাছগুলির রক্ষণাবেক্ষণেও সচেষ্ট থাকে সবসময়। তাই এবারেও বিদ্যাধরী নদীর বাঁধ-সংলগ্ন এলাকায় চারারোপণের পর, গাছগুলোকে বাঁচাতে এই দীর্ঘ রাস্তা জুড়ে আমাদের সংস্থার তরফ থেকে বেড়া দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে অঞ্চলের কোনো তৃণভোজী প্রাণী চারাগুলোর কোনো ক্ষতি না করতে পারে। আমাদের সংস্থার আরণ্যক প্রজেক্ট রূপায়ণ করাই হয়েছে সুন্দরবনের সার্বিক উন্নয়নকল্পে। আমাদের এই প্রজেক্টের মূল উদ্দেশ্য, সুন্দরবনের প্রকৃতিকে পুনরায় সৃজন আর একইসাথে,ওই অঞ্চলের টাইগার-অ্যাফলিক্টেড পরিবারের অসহায় মায়েদের কিচেন গার্ডেন, ইন্টিগ্রাটেড ফার্মিং ইত্যাদি কর্মসূচির মাধ্যমে স্বনির্ভর করে তোলা।”

Leave a Reply