Spread the love

জিটিএ নিয়ে দার্জিলিং সাংসদের দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ হাইকোর্টে,

বৈদূর্য ঘোষাল

সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জিটিএ সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলে। এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ পরিস্কার ভাবে জানিয়ে দেয় –  ‘সিঙ্গেল বেঞ্চের শুনানি পর্বে কোনরকম হস্তক্ষেপ করা হবেনা’।  অর্থাৎ জিটিএ মামলায় আগে যেমন ভোটপর্বে কোন আইনী বেড়াজাল ছিলনা।ঠিক তেমনি ফলপ্রকাশেও কোন আইনী ঝামেলা থাকলোনা।জিটিএর বৈধতা নিয়ে জিএনএলফের দায়ের করা মামলার শুনানির গতি বাড়ানোর আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন এই দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের  প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হয়েছিলেন দার্জিলিং এর বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এজলাসে জানিয়েছেন, -‘ মামলা নিয়ম মেনেই চলছে’।জিটিএর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে  গত ২০১২ সালে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল জিএনএলএফ। এরপর দীর্ঘদিন মামলার শুনানি না হওয়ায় ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টে যায় পাহাড়ি ওই রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে রাজ্য সরকারের সঙ্গে দফতর হস্তান্তর নিয়ে মোর্চার বিবাদ বাঁধে। সেই নিয়েও সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। সুপ্রিম কোর্ট  জানায় -‘ আগে জিটিএর বৈধতা সংক্রান্ত মামলার শুনানি করতে হবে কলকাতা হাইকোর্টকে’।এই মামলার শুনানি চলছে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চে।দশ বছরেও নিষ্পত্তি হয়নি এই মামলার। তাই জিটিএ মামলার দ্রুত শুনানির দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টের   প্রধান বিচারপতির দ্বারস্ত হয়েছিলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। সাংসদের  দাবি, -‘ দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে এই মামলার’। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, -‘ জিটিএর বৈধতা সংক্রান্ত মামলা সিঙ্গল বেঞ্চে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই চলছে’। এর পর আবেদনটি খারিজ করে দেয় আদালত। গত রবিবারই ছিল জিটিএ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। একপ্রকার  শান্তিপূর্ণ হয়েছে ভোট।কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের তরফেও সেই একই নির্দেশ বহাল রাখা হল। অর্থাত্‍ ২৯ জুন, নির্ধারিত দিনেই হবে জিটিএ নির্বাচনের ফল প্রকাশ।জিটিএ নির্বাচনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল জিএনএলএফ। তাঁদের দাবি , -‘ সংবিধান সংশোধন না করে এই জিটিএ নির্বাচন করা যাবে না। পুরনো ভোট প্রক্রিয়া অবৈধ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল’।, এই মামলায় বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভোট বা ফলাফল ঘোষণার ক্ষেত্রেও কোনও বাধা থাকছে না। এখন দেখার পুনরায় সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হন কিনা মামলাকারীরা?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *