জয়নগর কান্ডে আসামির ফাঁসির নির্দেশে সাময়িক স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ
মোল্লা জসিমউদ্দিন
একদিকে যেমন আরজিকর কান্ডে ফাঁসি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দরবারে রাজ্য ও সিবিআই। ঠিক অপরদিকে দন্ডিত ফাঁসির আসামির ফাঁসি রদ চেয়ে হাইকোর্টের দারস্থ আসামির আইনজীবী। সোমবার জয়নগরে নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের মামলা কলকাতা হাইকোর্টে গ্রহণ করা হল। নিম্ন আদালতে অভিযুক্ত মুস্তাকিনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার কথা হয়েছিল। নিম্ন আদালতের নির্দেশেই স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ।জয়নগরে নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় দোষী মুস্তাকিন সর্দারকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে বারুইপুর পকসো আদালত। ৬১ দিনের মাথায় সাজা ঘোষণা হয়েছিল সেই ঘটনার। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত মুস্তাকিন। আসামির আইনজীবীর দাবি, -‘তাড়াহুড়ো করে বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছিল। গুরুত্ব দিয়ে তার বক্তব্য শোনা হয়নি’।এদিন মুস্তাকিনের আইনজীবী জানান, “সমস্ত কাগজপত্র দেখে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা গ্রহণ করেছে। নিম্ন আদালত যে সাজা শুনিয়েছিল তা পুনর্বিবেচনা করবে হাইকোর্ট। আপাতত সেই রায় স্থগিত রইল। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকার যে জরিমানা করা হয়েছিল সেই নির্দেশেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।” গত বছর ৪ অক্টোবর বারুইপুর পুলিশ জেলার জয়নগর থানার মহিষমারি এলাকায় দশ বছরের এক নাবালিকার মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। অভিযোগ ওঠে, মেয়েটির প্রতিবেশী, ১৯ বছরের যুবক মোস্তাকিন সর্দার নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে, গলা টিপে খুন করেছে তাকে।সেই ঘটনারই তদন্ত শুরু হয় অত্যন্ত তৎপরতায়। ৫ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। সিট গঠন করে তদন্তও শুরু হয় ৭ অক্টোবর থেকে। নেতৃত্বে ছিলেন বারুইপুর পুলিশ জেলার এস.পি পলাশ ঢালী।এর পরে চার্জশিট জমা পড়ে ঘটনার ২৫ দিনের মাথায়, ৩০ অক্টোবর। এতটুকু সময় নষ্ট না করে, বিচার শুরু হয় ৫ নভেম্বর। মাত্র ২১ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হয় বিচারপ্রক্রিয়া।৬ ডিসেম্বর, সেই ঘটনার ঠিক ৬২ দিনের মাথায় সাজা ঘোষণা হয় অপরাধীর। ফাঁসির আদেশ দেন বারুইপুর জেলা এবং দায়রা আদালতের অধীন পকসো কোর্টের মাননীয় অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জাজ সুব্রত চট্টোপাধ্যায়।এই নির্দেশ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে দারস্থ আসামির আইনজীবী।