চেতলার ২২ পল্লী ১১১তম বর্ষে পদর্পন করলো দশমহাবিদ্যা পূজা-
মৃত্যুঞ্জয় রায়,
আলোর উৎসবে মেতে উঠবে গোটা দেশ। পাশাপাশি আলোর এই উৎসবে মাতোয়ারা বাংলাও।
শক্তির দেবী কালীকে আরাধনা, অন্ধকার থেকে আলোর পথে চলার প্রতিশ্রুতি, সমাজে শুদ্ধতা ও সৌভাগ্যের ডাক—সব কিছু নিয়ে এই অপার রাত বাংলার ঘরে ঘরে ফিরে আসে। ২০২৫ সালের পূজা আয়োজনে রয়েছে নতুনত্ব আর অগণিত মানুষের ভক্তি। এই নিয়ে এবারে চেতলার ২২ পল্লী ১১১তম বর্ষে পদর্পন করলো দশমহাবিদ্যা পূজা। যেখানে শ্যামা মা কে ১০টি রূপে দেখানো হয়েছে।
১৯ সে অক্টোবর ২০২৫ তারিকে এর শুভ উদ্ভবন এ প্রদীপ প্রজ্বলন করলেন স্বামী দিব্যজ্ঞানানন্দ “ভারত সেবাশ্রম সংঘ “, শ্রী অনুপম হালদার যুগ্ম কমিশনার আবগারি দপ্তর- পশ্চিমবঙ্গ সরকার,পাঞ্চালি মুন্সী যুগ্ম কমিশনার রাজস্ব বিভাগ- পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
স্বামী দিব্যজ্ঞানানন্দ শ্যামা পূজা উপলক্ষে বিশেষ বক্তব্য প্রকাশ করেন। তার বক্তব্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল -“যে কোন পুজো বা আনন্দ অনুষ্ঠানে আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির যে পোশাক অর্থাৎ ধুতি, পাঞ্জাবি ও শাড়ি সেটি বেশি সুন্দর্য তুলে ধরে। তাই বিশেষ করে যে কোন পুজো ও আনন্দ অনুষ্ঠানে আমাদের সাংস্কৃতিক পোশাক আমাদের সৌন্দর্যের প্রতীক।”
অনুপম হালদার তার বক্তব্যে এক উল্লেখ যোগ্য কথা তুলে ধরেন – ” মায়ের আরাধনা মাধ্যমে প্রাকৃতিক শক্তি কে নিজের মধ্যে আহরণ করে অশুভ শক্তিকে দূর করে এগিয়ে চলতে হবে ও এক নতুন মহাবিশ্ব ঘটনা করতে হবে। “
পাঞ্চালি মুন্সী সাংবাদিক মাধ্যমকে জানান যে “এই জায়গার শ্যামা পূজো প্রকৃত নিয়ম ও নিষ্ঠার মাধ্যম পালন করা হয়।” শুধু তাই নয় তিনি তার অতীতের স্মৃতিচারণও করলেন এই পুজো নিয়ে।