চিত্রশিল্পী,কবির প্রয়ানে স্মরণ সভা পূর্বস্হলীতে,
দীপঙ্কর চক্রবর্ত্তী,
পূর্বস্হলীর কাষ্ঠশালীর কবি,চিত্রশিল্পী অচ্যিন্ত সিংহ(৬৫) গত শনিবার রোগভোগের পর মারা যান।তিনি এলাকার আপামর মানুষের কাছে খুবই প্রিয় ছিলেন।চুপির পাখিরালয় সৃষ্টির সময় থেকে তিনি সেখানকার উন্নয়নের সাথে যুক্ত ছিলেন।সেখানকার সেচ্ছাসেবী সংস্হা বনবিথীর সভাপতি ছিলেন।এলাকা শব্দ থেকে বিরত থাকা,পাখি শিকার,জলাভূমি পানামুক্ত সহ একগুচ্ছ কাজ করে গেছেন তিনি।সাথে সাথে পর্যটন শিল্পে এই এলাকার নাম উঠে আসুক এবং বিভিন্ন গনমাধ্যমের মাধ্যে পাখিরালয়ের প্রচারের দিকেও নজর দেন।তিনি এক জন অঙ্কন শিক্ষক ছিলেন।বিভিন্ন পোষ্টার ও দেওয়াল লিখন মানুষ দেখত মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে।তিনি একজন প্রকৃতি প্রেমিও।তার আভাষ পাওয়া যায় তার লেখা ছড়া,কবিতায়।তার দুটি কাব্য গ্রন্হ রাঙাবেলা ও পান্চজন্য।বহু কবিতা ছড়া লিখেছেন তিনি।বহু সভায় ছুটে যেতেন কবিতা পাঠ করতে।এই গুনী মানুষটির প্রয়ানে গভীর বেদনাহত হয়ে রবিবার বিকেলে আকাশের নীচে এবং পিলসুজ পত্রিকার আয়োজনে পারুলিয়া আনন্দলোক সংগীত মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গনে স্মরণ সভায় অচ্যিন্ত সিংহর জীবনের বিভিন্ন কাজ,তার বহুমুখি প্রতিভা,ছবি ও কবিতা বিষয়,সংসারের দারিদ্রতা প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা করেন কৃষ্নদ্বৈপায়ন চক্রবর্ত্তী,স্বপন চক্রবর্ত্তী,গোবিন্দ রায়,রামকৃষ্ন ঘোষ,বিকাশ দাস,সুদীপ্ত পাল,অনিন্দ্য দাস,পল্লব ঘোষাল,রন্জিত দাস,অমিত নাথ,অত্রি চক্রবর্ত্তী ও দীপঙ্কর চক্রবর্ত্তী।অচ্যিন্ত বাবু আনন্দলোকে এক দশকেরও বেশি অঙ্কন শিক্ষক হিসেবে যুক্ত ছিলেন।তাঁর হাত ধরে এলাকায় বহু ছেলেমেয়ে ছবি আঁকা রপ্ত করেছিল।তিনি রেখে গেলেন একমাত্র মেয়ে ও স্ত্রীকে।