চিত্তরঞ্জন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ফতেপুর কমিউনিটি হলে আয়োজিত হল বিশাল কর্মিসভা
কাজল মিত্র :-রবিবার চিত্তরঞ্জন ফতেপুর মোড় সংলগ্ন কমিউনিটি হলে চিত্তরঞ্জন তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি কর্মী সভার আয়োজন করা হয়।এই কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চ্যাটার্জি ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিধান উপাধ্যায় ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার যুব সভাপতি কৌশিক মন্ডল ।এদিন এই কর্মিসভার শুরুতে স্বর্গীয় মানিক উপাধ্যায় ও পাপু উপাধ্যায় সহ চিত্তরঞ্জন এর তৃণমূল এর একনিষ্ঠ কর্মী স্বর্গীয় উমেশ মন্ডলের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন এছাড়া একমিনিট নীরবতা পালনের মধ্যে দিয়ে কর্মিসভা শুরু হয়
এছাড়াও পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি তথা বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় এর হাতে চিত্তরঞ্জন ব্লক তৃণমূলের পক্ষ থেকে স্বারক লিপি তুলে দেওয়া হয় ।একই সাথে বিধায়কের হাত দিয়ে চিত্তরঞ্জন এত গ্রাসরুট এর কর্মী ও সমস্ত বুথ কর্মীদের তাদের কাজের জন্য সকলকে ফুল ও শাল দিয়ে সন্মান জানানো হয়।ও স্বর্গীয় উমেশ মন্ডলের পরিবারকেও সম্মানিত করা হয় ।
এদিন এই কর্মিসভায় বারাবনির বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিধান উপাধ্যায় বলেন যে ।যেভাবে তৃণমূলের কর্মীরা একসাথে দলের হয়ে কাজ করেছে তাই এই জয় নিচু স্তরের কর্মীদের আসল জয় আজ তাদের জন্যই আজ আমার এই জয়।তবে যারা এই দলে থেকে নিজের স্বার্থ রক্ষায় কাজ গদ্দারের কাজ করে গেছে তাদের দলে থাকার কোন অধিকার নেই।যদি কেউ তার ব্যক্তিগত স্বার্থে টিএমসিতে আসে তাহলে তার জন্য টিএমসিতে কোন জায়গা নেই।একই সঙ্গে তিনি দেশের প্রধান মন্ত্রী ও বিজেপি সরকার কে কটাক্ষ করে বলেন কালিদাস এর মত এখন প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা কারন কালিদাস যে ডালে বসে ছিলেন সেই ডালটি কাটছিল তেমনই প্রধানমন্ত্রী
প্রধানের চেয়ারে বসে পুরো দেশটাকেই বিক্রি করতে চলেছে ।এই রকম প্রধানমন্ত্রী আগে কোনদিন দেখিনি যেভাবে একের পর এক সমস্ত কলকারখানা বিক্রি করে চলেছে তাতে বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ।তাই এই ধরনের প্রধানমন্ত্রী আমরা চাইনা 2024 এর আগে মনে হয়না কোন করখান বাঁচবে প্রতিটি ব্যাংক প্রতিটি সরকারি প্রতিষ্ঠান বিক্রির মুখে কারন উনি জেনে গেছেন তাকে 2024 এর পর দেশ ছেড়ে পালাতে হবে ।আগের দিন যেমন দেশকে লুন্ঠন করে চলে যেত ঠিক সেভাবেই এই বিজেপির সরকার দেশকে লুটে নিটল্যে যাবে তাই সকলকে সজাগ থাকতে হবে।তাছাড়া সকলে এক হয়ে এই লুন্ঠন রাজ সরকারের বিরূধ্যে লড়াই করে যেতে হবে
প্রত্যেককে দলের কর্মীদের সম্মান করতে হবে,যারা বুথ স্তর থেকে দলকে শক্তিশালী করবে তাছাড়া যারা তাদের ভোট জেতানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে তাদের যোগ্য সন্মান দিতে হবে।
এবিষয়ে উজ্জ্বল চ্যাটার্জি বলেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃতীয়বার বাংলায় তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে।তবে নিচু স্তরের কর্মীরা আসল কর্মী আর যারা দলে থেকে দলকে ছুড়ি মারে সেইসকল গদ্দারের চিহ্নিত করে দলের বাইরে ছুড়ে ফেলতে হবে ।বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে যে তৃণমূল নেতারা বিজেপিতে গিয়েছিলেন। তাদের ছাড়াই তৃণমূল বাংলায় ২০০ আসন সংখ্যা অতিক্রম করেছে। তাই এই ধরনের নেতাদের আবর্জনা বলে কটাক্ষ করেছেন এবং তিনি বলেন যে এখন তৃণমূলে সেই বর্জ্যের প্রয়োজন নেই।
তাদের আসল জায়গা ওই বিজেপিতেই। আগামী দিনে আসানসোল সহ বাংলায় বহু নির্বাচন হতে চলেছে। কিন্তু তৃণমূল কে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে তার টার্গেট করতে হবে। বিশেষ করে এই জেলায় কারণ এখানে লোকসভা উভয় আসনে টিএমসিকে পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে।তিনি বলেন যে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে উভয় আসন জয় করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য একটি উপহার হবে যাতে তিনি ২০২৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। তারজন্য এখন থেকে দলের সবাইকে বৈষম্য ছাড়া ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
চিত্তরঞ্জন ব্লক যুব তৃণমূলের শ্যামল গোপ, ও ছাত্র যুব নেতা মিঠুন মন্ডলকের উদ্দোগে এই সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয় তাছাড়া
এই উপলক্ষে এই কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান,সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফাল্গুনী ঘাসি ,সহসভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র,চিত্তরঞ্জন ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তাপস ব্যানার্জি, সালানপুর ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ভোলা সিং ,এনএফআই আর নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং, অর্ধেন্দু চক্রবর্তী,স্যনারায়ন মন্ডল সহ একাধিক কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।