চাকরি বাতিলের অন্তরালে বাগ কমিটির রিপোর্ট

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে – ‘ কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই যথার্থ, কেননা যোগ্য – অযোগ্যদের চিহ্নিতকরণ সম্ভব নয় ‘। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম – দশম শ্রেণির শিক্ষক, একাদশ – দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক সর্বমোট ২৫,৭৫২ জন নিয়োগ হয়েছিল।২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তিতে ২০১৯ সালে নিয়োগ হয়।এই চারটি পর্যায়ে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তোলে কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চে মামলা হয়।সেই মামলায় সিবিআই কে তদন্তভার তুলে দেন তৎকালীন বিচারপতি। সেসময় তিনি ১০ টি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে ২০২১ সালে ডিসেম্বর মাসে তৎকালীন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশে সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়ে এক অনুসন্ধান কমিটি গড়ে দেয়।অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগের নেতৃত্বধীন কমিটি দুর্নীতির শাখাপ্রশাখা গুলি তথ্য সহ তুলে ধরে।যা পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই অনুসরণ করে যায়।এই কমিটির রিপোর্টে তদন্ত চালিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা একের পর এক গ্রেপ্তার হয়।পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সাব্বির রশিদি ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া কে বাতিল করে।যা বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চও তাতে সিলমোহর দিল। কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী  ভীষক ভট্টাচার্য বলেন – “নিয়োগ দুর্নীতি উদঘাটনে বাগ কমিটির রিপোর্ট অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ”। 

Leave a Reply