গলসীতে দুয়ারে র্যাশন প্রকল্প,
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী
দুয়ারে সরকারের মত 'দুয়ারে র্যাশন' অর্থাৎ র্যাশন ডিলারদের মাধ্যমে ঘরে ঘরে র্যাশন পৌঁছে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী। ঘোষণা কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সেটা নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী এবং দপ্তরের আধিকারিকরা দ্রুত আলোচনায় বসেন। শেষে অনেক বাধা-বিপত্তি ও র্যাশন ডিলারদের আপত্তিকে এড়িয়ে রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয় 'দুয়ারে র্যাশন' প্রকল্প। গত ২২ শে অক্টোবর তারই নমুনা দেখা গেল গলসীর ২ নং ব্লকের গোহগ্রাম অঞ্চলের দাদপুর-পাহাড়পুর সংসদে।
স্হানীয় প্রধান রিঙ্কু ঘোষ, ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি হেমন্ত পাল, অঞ্চল তৃণমূল যুব সভাপতি আশীষ চ্যাটার্জ্জী, যুব কর্মী বাপ্পা চ্যাটার্জ্জী সহ তৃণমূল কর্মীদের উপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সংসদের দুই শতাধিক মানুষের মধ্যে 'দুয়ারে র্যাশন' প্রকল্পে র্যাশনের বিভিন্ন মালপত্র বিলি করা হয়। হাতের কাছে র্যাশন পেয়ে অসহায় প্রবীণ মানুষেরা খুব খুশি।
রিঙ্কু দেবী বলেন - এটা সরকারি প্রকল্প। যাতে কোনো রকম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয় তার জন্য স্হানীয় প্রধান হিসাবে আমি উপস্থিত ছিলাম। মানুষের উৎসাহ দেখে মনে হলো এই প্রকল্প যদি এই এলাকায় ধারাবাহিক ভাবে চলে তাহলে এলাকার মানুষ খুবই খুশি হবে।
অন্যদিকে গলসী ২ নং ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুজন মণ্ডল বললেন - আমরা তৃণমূল দলের সৈনিক। দিদি তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পগুলি যাতে সফল হয় তার জন্য সতর্ক থাকি। কিন্তু কোনোরকম দলীয় হস্তক্ষেপ করিনা। আশাকরি অন্যান্য প্রকল্পের মত 'দুয়ারে র্যাশন' প্রকল্প সারাদেশে জনপ্রিয়তা লাভ করবে।