গভীরে
পূজা দাস বোস
সবুজের গায়ে হিমের চাদর ,
নিঃসঙ্গ নিস্তব্ধতা আকাশের বুক ছুঁয়ে !
পাখির চোখ শিকার খোঁজে অন্ধকার ঘুলঘুলির মধ্যে ।
জনকোলাহল গভীর মনযোগে দিনের অঙ্ক কষে
ঘুমন্ত চোখ গুলোয় অদৃশ্য শক্তি … মেপে দিয়েছে সময় !
ব্যাস্ত ভীষণ তুমিও … গোপন বৈঠক দপ্তরে ।
আমি একা ছাদের কার্নিশে ,
যেখানে ক্ষনিকের মায়াজাল ছিঁড়ে হারিয়ে যাই প্রতি রাতে !
সহে যাওয়া অন্ধকার আমায় ফিরিয়ে দেয় …
না-পাওয়ার সুখ
মুখ গুঁজে ছোঁয়া হৃৎপিণ্ডের ওঠানামার সেই শব্দ বাতাসে ভেসে আসে।
একা … তবু একা-নই … ভেসে যাই বুদ্ধের দেশে
বিম্বিসারের সেই অন্ধকার প্রাসাদে ,
রক্ত মাখা ফলক ছুঁয়ে আমি পাথর হয়ে যাই !
কি বিশেষ শক্তি ছিল শ্রীমতির মনঃসংযোগে
সে জ্যোতি আমায় দাও প্রভু … আমি প্রদীপ জ্বালাই এই গভীর অন্ধকারে ।
ওই দূরে অরন্যে ধ্বংসের দাবানল জ্বলছে … হিংসে পুড়ে স্বার্থের ছাই জমছে
আমায় মাটি দাও প্রভু … বয়ে যাওয়া নদীর সবটুকু নুন দিয়ে তোমার মূর্তি গড়ি ।
ধীরতার চাদরে মুড়ে দাও আমায় … ওই দূরে মঙ্গল আরতির ঘন্টাধ্বনি শুনি ।