জাহিরুল হক (রাজা মাস্টার),
2021 সালে তৃতীয় বারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর সব থেকে যে বিষয়ে নজর দেওয়া হচ্ছে তা হলো বাংলার সার্বিক উন্নয়ন।আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধায়কদের মধ্যে অন্যতম মঙ্গলকোটের জনদরদী বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী।তিনি বর্তমানে মঙ্গলকোট তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতিও।2011 সালে যখন তৃণমূল দল প্রথম বার ক্ষমতায় আসে তখন মাত্র কয়েক ভোটের জন্য বাম প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন।কিন্তু তার সত্বেও তিনি সেইসময় মঙ্গলকোটের জন্য যা করেছেন তা একজন বিধায়ককেও হার মানিয়েছেন।এরপর দীর্ঘ 10 বছর অপেক্ষার পর 2021সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিশাল ব্যাবধানে জয়লাভ।এই জয়লাভ যেন তাঁকে আরো বেশি কাজের উৎসাহ দেয়।মাত্র চারমাসের এই সময়ে মঙ্গলকোটের মানুষের আরো কাছের মানুষ হয়ে উঠেছেন তিনি।তিনি বিধায়ক হওয়ার পর ভোট পূর্ববর্তী প্রতিশ্রুতি কে বাস্তবায়ন করতে বদ্ধপরিকর।মঙ্গলকোটের একপ্রান্ত থেকে আর এক প্রান্ত ছুটে বেড়াচ্ছেন, যাতে সাধারণ মানুষের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন প্রকল্প পৌঁছে যেতে পারে।তিনি যে কতবড় দক্ষ বিধায়ক তার প্রমান “দুয়ারে সরকার” প্রকল্পের জন্য বিভিন্ন ক্যাম্পের সফলতা।প্রতিটি “দুয়ারে সরকার” ক্যাম্প তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পর্যবেক্ষণ করেছেন।মঙ্গলকোটের বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলিতে গিয়ে তিনি খোঁজখবর নিচ্ছেন।তাঁর কাজের দক্ষতা দেখে বিরোধী দলের অনেকেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছে।কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে যখন রাজ্যের বহু জায়গায় বিক্ষিপ্ত বিশৃঙ্খলার খবর শোনা যাচ্ছে তখন মঙ্গলকোটের বিধায়কের সুদক্ষ পরিচালনায় মঙ্গলকোটের মানুষ শান্তিপূর্ণ ভাবে ভ্যাকসিন নিচ্ছেন।কোভিড কালে কর্মহীন মানুষ যাতে কষ্ট না পায় তার সুব্যবস্থা করছেন অনুব্রত মন্ডলের স্নেহের অচল।তাঁর একটাই লক্ষ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে স্বপ্ন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছেন সেই স্বপ্নের বাস্তবের ফেরিওয়ালা যেন মঙ্গলকোটের বিধায়ক।ইয়াস ঝড়ে যখন পশ্চিমবঙ্গের দুই মেদিনীপুর,দুই 24 পরগনা বিধস্ত। ঠিক সেইসময় তিনি তার এলাকা থেকে নিজ খরচে তিন তিন বার লরি করে খাদ্য ও বস্ত্র সামগ্রী ত্রাণ পাঠিয়েছেন।তাঁর কর্ম কাণ্ডে খুশি হয়ে মঙ্গলকোটের সাধারণ মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছেন অপূর্ব চৌধুরীকে মঙ্গলকোটের বিধায়ক করার জন্য।