কালীঘাটের কাকু কে গ্রেপ্তার কেন করতে হবে?  সিবিআই কে জানাতে বললো হাইকোর্ট 

মোল্লা জসিমউদ্দিন

মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে অস্বস্তিতে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। সিবিআই গ্রেফতারি আশঙ্কা করে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’। তবে আগাম জামিনের আবেদন মামলায় নিম্ন আদালতের প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট।সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের মেডিক্যাল দেখতে চায় হাইকোর্ট।সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের আইনজীবীর আবেদন, -‘ নিম্ন আদালতের প্রক্রিয়ার ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করুক ডিভিশন বেঞ্চ’। সেই আবেদনে সাড়া দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। বরং কেন তাকে আগাম জামিন মঞ্জুর করা হবে এই মর্মে কিছু প্রশ্ন করে আদালত।সেই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চের।সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র বলেন ওরফে অভিযুক্ত কালীঘাটের কাকু বলেন, ”নিম্ন আদালতে আমি হাজিরা দেইনি। আমি অসুস্থ রয়েছি । আমায় এত দিনের মধ্যে গ্রেফতার করেনি। গত বছর ৪ মে  আমার বাড়িতে তল্লাশি হয়। ১৩ মে আমায় গ্রেফতার করেনি ইডি। আমি ওই ইডি কেসের ভিত্তিতে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করি। সম্প্রতি সেই জামিন মঞ্জুর হয়ছে। শেষ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়ছে নভেম্বরে।”অভিযুক্তের আরও আবেদন, ”জেলে ফেলে রেখেছে। নিম্ন আদালতে আমায় হাজির করতে পারেনি বলে কোনও প্রসিডিংস শুরু করতে পারেনি। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে গ্রেফতারির বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে না। কয়েকদিন নিম্ন আদালতের প্রক্রিয়া ওপর স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেওয়া হোক।’নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’কে আবার গ্রেফতার করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানাল, ‘কালীঘাটের কাকু’কে কেন গ্রেফতার করতে হবে, তা পরবর্তী শুনানিতে জানাতে হবে সিবিআইকে’।

Leave a Reply