Spread the love

 কলকাতা পুলিশে নিয়োগ পরীক্ষা ইংরেজিতে নয়, জানালো হাইকোর্ট,

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

পুলিশের পরীক্ষায় চাকরিপ্রার্থীদের  কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়ার জট কাটল সোমবার। এদিন  কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পরীক্ষায় ভাষাগত সমস্যা মিটলো।উল্লেখ্য, সোমবারই ছিল পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। কলকাতা হাইকোর্টে এক দাখিল মামলায় আইনী বেড়াজালে আটকে গিয়েছিল কলকাতা পুলিসের কনস্টেবল ও মহিলা কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষাপর্ব।ওই মামলায় দাবি রাখা হয়েছিল পুলিশের পরীক্ষা নিতে হবে ইংরেজি ভাষাতেও।সাম্প্রতিক সময়কালে  কলকাতা পুলিস রিক্রুটমেন্ট বোর্ড  কনস্টেবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, -‘ নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হবে বাংলা ও নেপালিতে’। তবে এক  স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কলকাতা হাইকোর্টে দাখিল পিটিশনে জানায় -‘ পরীক্ষা নিতে হবে ইংরেজিতেও’। এই মামলাটি শুনানি চলে কলকাতা হাইকোর্টের  প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। সোমবার এই মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে আদালত । এরফলে এখন আর কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও বাধা রইল না আইনগত ভাবে ।প্রসঙ্গত, শুন্যপদ পূরণে মোট ১১৪০ কনস্টেবল ও ২৫৬ জন মহিলা কনস্টেবল নিয়োগ করতে চলেছে  কলকাতা পুলিস। মাধ্যমিক উত্তীর্ণরা আবেদন করতে পারবেন এই পুলিশ নিয়োগের পরীক্ষায়।এদিন অবশ্য এই পরীক্ষায় আবেদনের শেষ দিন ছিল।কলকাতা পুলিশে  নিয়োগের প্রশ্নপত্র কোন কোন ভাষায় হবে তা নিয়ে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এই মামলায় ইংরাজি অন্তর্ভুক্ত করার দাবি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন  বেঞ্চ।চলতি বছরের ২৭ মে পুলিশের তরফে  ১,১৪০ জন কনস্টেবল এবং ২৫৬ জন মহিলা কনস্টেবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে পুলিশ  রিক্রুটমেন্ট বোর্ড। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, -‘ বাংলা এবং নেপালি, শুধুমাত্র এই দু’টি ভাষাতেই প্রশ্নপত্র হবে’।এই বিজ্ঞপ্তিতে কে  চ্যালেঞ্জ করে মামলা করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ওই সংগঠনের দাবি, – এর আগের  নিয়োগ পরীক্ষায় ইংরাজি ছিল। এবার কেন তা বাদ দেওয়া হল?’ প্রতুত্তরে   রাজ্য সরকার যুক্তি দেয় এজলাসে , -‘ বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে বলা আছে, বাংলা জানা বাধ্যতামূলক। পাহাড়ের দুটি জেলার ক্ষেত্রে নেপালি ভাষার অপশন রাখা হয়েছে।  কোনও পরীক্ষার্থী এই মামলা করেনি’। দুপক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে কলকাতা  হাইকোর্ট এর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এদিন মামলাটি খারিজ করে দেয়।উল্লেখ্য, এদিনই ছিল এই নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন জানানোর শেষদিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *