কলকাতা পুলিশের ১৬৩ ধারা খারিজ করে দ্রোহের কার্নিভালের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
মঙ্গলবার রাজ্যের শীর্ষ আদালততে আইনী ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। এদিন রানি রাসমণি রোডে চিকিৎসকদের দ্রোহের কার্নিভালে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা পুলিসের ১৬৩ ধারা জারি নির্দেশিকা খারিজ করলো হাইকোর্ট । রানি রাসমণি রোডে দ্রোহের কার্নিভাল আয়োজনের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রবিকিষণ কাপূরের নির্দেশ, ‘রেড রোড এবং রানি রাসমণি রোডের মাঝে ব্যারিকেড করে দিতে হবে’।এর পাশাপাশি বিচারপতি এই মামলার শুনানি পর্বে জানান ,-‘ পুলিশের ১৬৩ ধারা ( পূর্বতন ১৪৪ ধারা) জারির বিজ্ঞপ্তি অসামঞ্জস্যপূর্ণ।এদিন মামলা শুনানিতে মামলাকারী জয়েন্ট ডক্টর ফোরামের পক্ষে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা অসহায় হয়ে মামলা করতে বাধ্য হয়েছি’। এরপর রাজ্যের এডভোকেট জেনারেলের কাছে বিচারপতি জানতে চান, ‘আপনারা কি সত্যি এই মামলার বিরোধিতা করছেন’? এর প্রতুত্তরে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, ‘একদম। অনেক আগে থেকে পরিকল্পনা। এখন হঠাৎ করে তারা বলছেন এটা করবেন’।রাজ্যের আরও বক্তব্য, ‘রাণী রাসমণি হল রেড রোডের কাছে। উত্তর কলকাতার প্রায় ১০০টা পুজো রাণী রাসমণি ধরে যায়’। পুনরায় বিকাশরঞ্জন জানান , ‘ব্যারিকেড করে দেওয়া হোক। দুটো কার্নিভাল এক সঙ্গে চলুক’। রাজ্যের তরফে বলা হয়, ‘যদি ব্যারিকেড করে দেওয়া হয় তাহলে প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা। এই কার্নিভাল অনেক বিদেশি অতিথি আসছেন। তার বাইরেও অনেক মানুষ আসবে। রাজ্য কে তার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে দেওয়া হোক। কাল বা অন্য কোনও দিন। তারা করুক। শহরের প্রাণকেন্দ্রে তারা অবস্থা। করছে সেটা সব মানুষ জানে’। মঙ্গলবার রেড রোডে পুজোর কার্নিভাল। বিকাল চারটে থেকে শুরু হওয়া এই কার্নিভালের সময়েই ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-এর ডাক দিয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। উৎসবকে ‘বয়কট’ করে ‘জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর্স’-এর উদ্যোগে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি। এদিকে এই ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-এর ছাড়পত্র দেয়নি কলকাতা পুলিস। পুলিস সাফ জানিয়েছিল কোনওভাবেই পুজো কার্নিভালের দিন ওই কর্মসূচি করতে পারবেন না সিনিয়র চিকিৎসকরা। এমনকি মুখ্যসচিব ইমেইল করে অনুরোধ করেছিলেন রেড রোডে পুজোর কার্নিভালের দিন রানি রাসমনি রোডে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ করবেন না। এরপর মঙ্গলবার সকালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ১৬৩ ধারা জারির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কলকাতা পুলিস। এরপরই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে।