করোনা স্বাস্থ্যবিধির বেড়াজালে রাস উৎসব ; হাইকোর্ট
নিজস্ব প্রতিনিধি,
মারণ ভাইরাস করোনা আবহে আসন্ন রাসের মেলা নিয়েও চিন্তায় প্রশাসন। অসংখ্য মানুষের ভিড় হয় রাজ্যের প্রসিদ্ধ রাস মেলাগুলি তে। কোভিডের সময় ভিড় নিয়ন্ত্রণে দুর্গাপুজো, কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজোতেও বিধিনিষেধ বেঁধে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তাই রাসের মেলাতেও জনসমাগমে রাশ টানতে মেলা কমিটিগুলি কে কড়া নির্দেশ দিয়েছে আদালত।হাইকোর্টের নির্দেশ, রাসের মেলায় করোনা বিধি মানা হচ্ছে কিনা তা সশরীরে হাজিরা দিয়ে মেলা কমিটিকে জানাতে হবে। মেলায় কোনওভাবেই অতিরিক্ত ভিড় জমানো যাবে না। মেলায় যাঁরা আসবেন তাঁদের প্রত্যেককেই মাস্ক পরতে হবে ও সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং মেনে চলতে হবে। মেলায় ঢোকা ও বেরনোর গেটে স্যানিটাইজার টানেল ব্যবহার করতে হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পিয়ালির জীবনতলা, সোনারপুর, বাড়ুইপুর থানা এলাকায রাস মেলার আয়োজন করা হয়েছে। উত্সব টানা পনেরো দিন চলে।আদালত জানিয়েছে, ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করতে হবে কমিটিকেই। করোনা বিধি কোনও মতেই লঙ্ঘন করা যাবে না। প্রয়োজনে কড়া ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। গত বছর করোনার কারণে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং পিয়ালি রেলস্টেশনের কাছে ঐতিহ্যবাহী রাসের মেলায় অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। পঁচিশ বছরের পুরনো এই রাসমেলাকে ঘিরে বিরাট উত্সব হয়। প্রতিদিনে প্রায় হাজার পঁচিশেক দর্শনার্থীর ভিড় হয়। একমাস ধরে চলে মেলা। এ বছরে মেলা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তবে নিয়মও বেঁধে দিয়েছে আদালত। স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মেলায় কড়াভাবে কোভিড প্রোটোকল মানতে হবে। প্রতিদিন কত ভিড় হচ্ছে, নিয়ম মানা হচ্ছে কিনা, সব কিছুই বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হবে আদালতকে। মেলা কমিটির সদস্যেরা সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে রিপোর্ট জমা করবেন। রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকের জেনারেল জানান, -‘মেলায় ঢোকা ও বেরনোর পথে স্যানিটাইজার গেট বসানো হয়েছে। এই মেলা অনেক পুরনো, মানুষজনের আবেগ জড়িয়ে আছে। কোভিড বিধি যাতে মেনে চলা হয় সেদিকে নজর রাখবে প্রশাসন’। করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে আদালতের এই নির্দেশ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।