সেখ মিলন,
রুজি রুটির তাগিদে ভিন্ন রাজ্যে কাজে যাচ্ছিলেন ভাতাড়ের শ্রমিকরা। উপার্জনের আশায় রাজমিস্ত্রির কাজের জন্য চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্য করমন্ডল এক্সপ্রেসে চড়েছিলেন ভাতারের শ্রমিকরা।পথেই বিকট আওয়াজ, নিমিষের মধ্যেই চারিদিকে অন্ধকার।কিছুক্ষনের জন্য জ্ঞানহারা হয়ে পড়েন শ্রমিকরা। চোখ খুলতেই সারি সারি মৃতদেহ। মৃতদেহ টপকে কোনরকম জানালা দিয়ে বের হয়ে প্রাণ হাতে বাড়ি ফিরলেন ভাতারের শ্রমিকরা। ভাতারের বামশোর গ্রামে ৮ জন কালুক্তক গ্রামের ৪ জন ও মঙ্গলকোটের ধারসোনা গ্রামের এক মহিলা সহ ১৩ জন আহত শ্রমিক বাড়ি ফিরলেন। জখম ১৩ জনকে ভাতার হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। জানা গেছে আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে বর্ধমান হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। জানা যায় পেটের তাগিদে ভাতারের বিভিন্ন গ্রামের শ্রমিকরা চেন্নাইয়ে রাজমিস্ত্রি কাজের কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। উড়িষ্যার বালেশ্বরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমন্ডল এক্সপ্রেস।কোনরকম প্রাণে বেঁচে বাড়ি ফিরলেন তারা। শ্রমিকদের অভিযোগ দুর্ঘটনার পরে তারা কোন রকম সহযোগিতা পায়নি। বাড়ি ফিরে হাড়হিম করা বীভৎস ঘটনার কথা জানালেন তারা। জখম ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। এদিন ভাতারের সিপিআইএম নেতা নজরুল হক ট্রেন দুর্ঘটনায় জখন ব্যক্তিদের ভাতার হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পাশাপাশি ভাতাড়ের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর নির্দেশে ভাতার ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যরা ভাতার হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।