কবি দেবাশীষ ব্যানার্জীর সংক্ষিপ্ত জীবনী
বাপন দাঁ,
বিহারের ধানবাদ শহরে ১৯৭৫ সালের ৪ জুলাই স্কাউটিং মাস্টার তথা কবি দেবাশীষ ব্যানার্জী জন্মগ্রহণ করেন। বাবা আদিত্যনারায়ণ ব্যানার্জী, মা ঊষারানী ব্যানার্জী। ছাত্রাবস্থায় কবি দেবাশীষ ব্যানার্জী তাঁদের বাড়ির দেওয়ালে একবার কাঠি দিয়ে তিন ভাইয়ের নাম লিখেছিলেন। এবং তারজন্য তাঁর বাবা তাঁকে তিরস্কার করে বলেছিলেন তোদের পত্রপত্রিকায় তো আর কোনদিন নাম উঠবে না, তাই তোদের নাম বাড়ির দেওয়ালেই লিখবি। বাবার এই কথাটি দেবাশীষ ব্যানার্জীর মনে ভীষণভাবে রেখাপাত করে। এবং তখন থেকেই কবি দেবাশীষ ব্যানার্জী প্রতিজ্ঞা করেন লেখার মাধ্যমে তাঁর নাম পত্রপত্রিকায় তুলতেই হবে। প্রথম স্বরচিত কবিতা প্রকাশ পায় স্কুল ম্যাগাজিনে। তখন তিনি অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। বাবার চাকরিসূত্রে ছোটবলা থেকেই কবি দেবাশীষ ব্যানার্জী হিন্দিভাষী জেলায় বড়ো হয়েছেন। স্বাভাবিক কারণে তিনি বাংলাতে কথা বলতে বা লিখতে পারলেও কবিতা বা গল্প লেখার ক্ষেত্রে হিন্দিতে যতটা পারদর্শী বাংলাতে সেভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতে ততটা নন। ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল সমাজের মানুষের সেবার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করবেন। মানবসেবার পাশাপাশি সঙ্গীত চর্চা, অভিনয়ের নেশা স্কাউটিং মাস্টার তথা কবি দেবাশীষ ব্যানার্জীর ছোট থেকেই। হিন্দিতে তিনি বহু নাটকে অভিনয় করে পুরস্কৃতও হয়েছেন। স্কাউটিং-এ পারদর্শিতার জন্য ১৯৯৩ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শঙ্কর দয়াল শর্মার কাছ থেকে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারও পান। এছাড়াও যোগা’তে মাস্টার ডিগ্রিও করেন। যোগা’র মাধ্যমে বহু রোগগ্রস্ত মানুষকে তিনি সুস্থ করে তুলেছেন। বর্তমানেও তাঁর কাছে বহু দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ যোগা’র মাধ্যমে রোগমুক্ত হতে আসেন। এবং তাঁরা উপকৃতও হন।