ওবিসি শংসাপত্র সমীক্ষা কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা

মোল্লা জসিমউদ্দিন , 

ফের কলকাতা হাইকোর্টে নতুন করে ওবিসি সার্টিফিকেট সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলা দাখিল হলো । এই জনস্বার্থ মামলাটি করেছেন অমলচন্দ্র দাস।ইতিপূর্বে এই মামলাকারীর মামলাতেই গত বছর কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ প্রায় ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশ দেয়।যার এখনও অবধি সুপ্রিম কোর্টে কোন স্থগিতাদেশ নেই। সম্প্রতি রাজ্যজুড়ে ফের শুরু হয়েছে ত্রুটিযুক্ত ওবিসি সার্টিফিকেট সংক্রান্ত সমীক্ষা। কেন ১১৩ সম্প্রদায়ের ওপরে এই ওবিসি সমীক্ষা চালানো হচ্ছে, এবার তা নিয়েই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল।হাইকোর্টে বাতিল হওয়া ১১৩ সম্প্রদায়ের উপরে সমীক্ষা বন্ধের আবেদন জানিয়ে নতুন জনস্বার্থ মামলা  অমলচন্দ্র দাসে’র। এই জনস্বার্থ মামলার অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ। জানা গেছে, রাজ্যের মোট জনসংখ্যার উপর সমীক্ষা করে প্রকৃত ওবিসি খুঁজে বের করার আবেদন জানানো হয়েছে ওই মামলায়। এর আগে অমল চন্দ্র দাসের মামলাতেই বাতিল হয়েছিল প্রায় ১২ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট। যে বিষয়টি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।বৃহস্পতিবার জনস্বার্থ মামলার অনুমতি চেয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানান আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলাকারীর আইনজীবী  জানান, -‘অনুমতি পাওয়া গেছে। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলেই শুনানির জন্য মামলাটি তালিকাভুক্ত হবে’। আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, -‘২০১০ সালের পরে তৈরি সমস্ত ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করার সিদ্ধান্তে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ আইনি সঙ্গত নয়’।কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশমত প্রায় ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হয়ে যাওয়ার পর, রাজ্য আবার নতুন সমীক্ষা শুরু করেছে, যা বিতর্ক তৈরি করেছে।গত মাসে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ওবিসি তালিকা পুনরায় যাচাই করা হচ্ছে। তবে, হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়ে তিন মাস সময় পাওয়ার পর এখন কলকাতা হাইকোর্টে নতুন আবেদন করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, রাজ্য সরকার ও হাইকোর্টের মধ্যে এই আইনগত লড়াইটি দ্রুত মীমাংসা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ।২০২৪ সালের ২২ মে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ ২০১০ সালের পর থেকে তৈরি সব ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দেয়। হাইকোর্টের নির্দেশে প্রায় ১২ লক্ষ সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে যায়। উচ্চ আদালতের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। হাইকোর্টের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরও।কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে নুতন জনস্বার্থ মামলাটির শুনানি খুব তাড়াতাড়ি হতে পারে বলে জানা গেছে। 

Leave a Reply