ওবিসি শংসাপত্র নিয়ে আজ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রায়দান ?
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে ওবিসি শংসাপত্র মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।২০২৪ সালের ২২ মে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ রায় অনুযায়ী ২০১০ সালের পর থেকে জারি করা প্রায় ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করে দেয়। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ , -‘এই শংসাপত্রগুলি যথাযথ সমীক্ষা ও আইনি প্রক্রিয়া মেনে জারি করা হয়নি’।রাজ্য সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে। তবে, সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়নি এবং রাজ্যকে নতুন করে সমীক্ষা চালিয়ে ওবিসি তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশ মেনে রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গ অনগ্রসর শ্রেণি কমিশনের মাধ্যমে একটি নতুন সমীক্ষা শুরু করে।২০২৫ সালের ২ জুন রাজ্য মন্ত্রিসভা এই সমীক্ষার ভিত্তিতে একটি সংশোধিত ওবিসি তালিকা অনুমোদন করে, যাতে ১৪০টি জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই তালিকায় পূর্বের ৬৬টি জাতির মধ্যে ২টি বাদ দিয়ে ৬৪টি রাখা হয় এবং নতুন করে ৭৬টি জাতি যুক্ত করা হয়।নতুন ওবিসি তালিকার বৈধতা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে নতুন করে মামলা দায়ের করেছেন অমলচন্দ্র দাস। তিনি পূর্বে ২০২৪ সালে ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের মামলায় মামলাকারী ছিলেন । তাঁর অভিযোগ, -‘রাজ্য সরকারের নতুন তালিকা ত্রুটিপূর্ণ সমীক্ষার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে এবং এটি হাইকোর্টের ২০২৪ সালের রায়ের পরিপন্থী’। এই মামলায় রাজ্য সরকার, পশ্চিমবঙ্গ অনগ্রসর শ্রেণি কমিশন এবং অমলচন্দ্র দাস বিবাদী পক্ষ হিসেবে রয়েছেন।এই মামলার ফলাফল রাজ্যের ওবিসি সংরক্ষণ নীতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। ২০১০ সালের আগে রাজ্যে ওবিসি সংরক্ষণ ছিল ৭ শতাংশ, যা পরে বাড়িয়ে ১৭ শতাংশ করা হয়। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ের পর এই সংরক্ষণ ব্যবস্থা জটিলতার মুখে পড়েছে। বিশেষত, শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে ওবিসি প্রার্থীদের জন্য নতুন তালিকা গুরুত্বপূর্ণ।সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়ে মূল মামলার শুনানি চলছে, যার পরবর্তী শুনানি আসন্ন জুলাই মাসে নির্ধারিত। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গবইয়ের বেঞ্চে এই শুনানি হবে। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ রয়েছে -‘শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়া উচিত নয়’। রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানিয়েছেন, -‘নতুন সমীক্ষা আর্থিক ও সামাজিক অনগ্রসরতার ভিত্তিতে করা হয়েছে’।