এসএসসির নুতন বিজ্ঞপ্তি মামলায় রাজ্য – কমিশনের একাধিক নথি তলব ডিভিশন বেঞ্চের
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এসএসসির নুতন বিজ্ঞপ্তি নিয়ে মামলায় এবার রাজ্য এবং কমিশনের কাছে একাধিক নথি তলব করলো । চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টের কাছে রাজ্য এবং কমিশনের তরফ থেকে জমা দেওয়া নথি এবং হলফনামা তলব। হলফনামা তলব করল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। নতুন বিধি চ্যালেঞ্জ করে মামলার প্রেক্ষিতে আগামী সোমবার নিজের বক্তব্য জানাবে রাজ্য এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন।একইসঙ্গে ২০১৬ র তুলনায় শূন্যপদ কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের অবস্থান জানাবে রাজ্য এবং কমিশন। এসএসসির নতুন নিয়োগের বিধি ও বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ মামলায় রাজ্যের কাছে একগুচ্ছ নথি তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ২৬ হাজার চাকরি খারিজের চ্যালেঞ্জ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যে নথি জমা দিয়েছে রাজ্য। সেই সমস্ত নথি আগামী শুনানিতে জমা দিতে হবে হাইকোর্টে।বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের আরও নির্দেশ -‘রাজ্যকে নতুন রুল ও বিজ্ঞপ্তির যে সব অংশ চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়েছে, সোমবারের শুনানিতে তার জবাব দিতে হবে’।সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি যায়। নতুন করে পরীক্ষা নিতে হবে বলেও সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দেয়। সেজন্য সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশ মেনে কমিশনের তরফে মে মাসের শেষে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সুপ্রিম নির্দেশ মেনে সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। সেই হিসেবে জুন মাসের শুরুতেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া ‘অযোগ্য’রা অংশ নিয়েছেন বলে দাবি করেন মামলাকারীরা। তাতে গত সোমবার নির্দিষ্টভাবে ‘চিহ্নিত অযোগ্য’দের নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে রাজ্য এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন। রাজ্যের আইনজীবী জানান, “সুপ্রিম কোর্ট কোথাও বলেনি যে নির্দিষ্টভাবে ‘চিহ্নিত অযোগ্য’রা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নির্দিষ্টভাবে ‘চিহ্নিত অযোগ্য’রা বয়সজনিত ছাড় পাবেন না। যদি নির্দিষ্টভাবে ‘চিহ্নিত অযোগ্য’রা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ না নিতে পারেন, তাহলে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া ‘অসফল’ চাকরিপ্রার্থীরাও অংশ নিতে পারবেন না।” সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, “কমিশনের কাছ থেকে এই ব্যাখ্যা প্রত্যাশিত নয়।”সওয়াল জবাব শোনার পর সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যর নির্দেশ ছিল, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশমতো নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে ‘চিহ্নিত অযোগ্য’দের বাদ দিতে হবে। যদি কোনও নির্দিষ্টভাবে ‘চিহ্নিত অযোগ্য’ ব্যক্তি ইতিমধ্যে আবেদন করে থাকেন, তাহলে সেটা বাতিল বলে গণ্য হবে। নতুন করে ফের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন বিচারপতি। সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। বৃহস্পতিবার ওই মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।