গঙ্গাসাগরের মেলা ২০২২ দ্বিতীয় দিনে পা রাখল। সারাদেশের সঙ্গে আমাদের রাজ্যে করোনার সংক্রমণ ধাপে ধাপে বেড়েই চলেছে। তার মধ্যে শুরু হয়েছে এবছরের গঙ্গাসাগর মেলা। যেহেতু এবারের গঙ্গাসাগর মেলা হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে চলছে তাই কচুবেড়িয়া থেকে সমুদ্রতট ও কপিলমনি চত্বর পর্যন্ত দেখা গিয়েছে করোনা বিধির কড়াকড়ি। পরিকাঠামো এবং করোনা বিধি মেনে পুণ্যার্থীরা যাতে গঙ্গাসাগর মেলা আসতে পারে তার জন্য সব রকম প্রস্তুতি রেখেছে জেলা প্রশাসন। চলতে গিয়ে এদিন সকাল থেকে ছিল প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে হালকা বৃষ্টি। ফলে অন্যান্য বারের তুলনায় এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় পূণ্যার্থীদের সংখ্যা ছিল অনেক কম। কুলপির রমজান নগর, কাকদ্বীপের হালদার চক, কাকদ্বীপ রেলওয়ে স্টেশন, হার উড পয়েন্ট বাস স্ট্যান্ড, লট নম্বর ৮, নামখানা রেলওয়ে স্টেশন, বেনুবন ফেরিঘাট, মেলা গ্রাউন্ডের কে টু বাসট্যান্ড ও ও মেলা গ্রাউন্ডে পূণ্যার্থীদের রেপিড টেস্ট করা হচ্ছে। কাকদ্বীপ ও সাগরে বেডের সেভ হোমের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া সমস্ত রকম পরিষেবা রাখা হয়েছে ব্যবস্থাকিন্তু করোনা বিধির নিষেধাজ্ঞা ছিল চোখে পড়ার মতো। কচুবেড়িয়া ঘাটে ভেসেল থেকে পুণ্যার্থীদের নামার সঙ্গে সঙ্গে ভারত সেবাশ্রম সংঘের কর্মীরা পূণ্যার্থীদের হাতে স্যানিটাইজার স্প্রে করে দিচ্ছে। এবং নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে যাতে পূর্ণার্থীরা যায় তার দিকে বিশেষ নজর রেখেছে তারা। সেই সঙ্গে পুণ্যার্থীরা চলে যাওয়ার পর প্রতিটি ভেসেল এবং কচুবেড়িয়া জেটিঘাট মেশিনের সাহায্যে স্যানিটাইজার স্প্রে করে দেওয়া হচ্ছে। জেটিঘাট অতিক্রম করে টানেলের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করার সময় সমস্ত শরীরে স্যানিটাইজার স্প্রে করে দেওয়া হচ্ছে। তারপর পুণ্যার্থীরা কচুবেড়িয়া বাস স্ট্যান্ডে আসছে বাস ধরতে। সেখান থেকে তারা গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্থান করে কপিলমুনির মন্দিরে পুজো দেবে। কচুবেড়িয়া বাস স্ট্যান্ড ছাড়া কপিল মুনির মন্দির চত্বর পর্যন্ত প্রতিটি জায়গায় প্রতিনিয়ত করোনা সংক্রান্ত বিধি নিষেধ মেনে চলার জন্য মাইকিং করে প্রচার করা হচ্ছে। সেই সরকারি নিষেধাজ্ঞাতে বলা হয়েছে প্রত্যেক প্রার্থীকে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। পুণ্যার্থী বা মন্দির চত্বরে প্রবেশকারীদের অতি অবশ্যই করোনা প্রতিষেধকের দুটি ডোজ নিয়েছেন বা দুটি ডোজের সার্টিফিকেট আছে, ৭২ ঘণ্টা আগে রেপিড টেস্টের সার্টিফিকেট নেগেটিভ আছে কেবলমাত্র তারাই প্রবেশ করতে পারবে।এছাড়া মন্দিরের গেটে ঢোকার আগে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে গোল করে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। সেখানেই দাঁড়াচ্ছেন পূর্নার্থিরা। তারপর সেখান থেকে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিনিয়ত মন্দিরের সামনে স্যানিটাইজার স্প্রে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে পুরোপুরি কোভিড বিধি মেনে ই চলছে এবারের গঙ্গাসাগর মেলা। তথ্য ও ছবি সুবল সাহা