সাধন মন্ডল,
মকর সংক্রান্তির পরের দিন “এখান যাত্রা” বা এখান উৎসব পালিত হয় গ্রাম বাংলার প্রতিটি বাড়িতে ।এখান উৎসব হল লক্ষ্মী পুজো “গৃহস্থের বাড়িতে ধান ওঠার পর এই উৎসবপালিত হয় । এদিনের এই লক্ষ্মীপুজো উৎসবে আলপনা আঁকা হয় তাতে চাষাবাদে ব্যবহৃত কৃষি যন্ত্রপাতি যেমন লাঙ্গল, কোদাল, কাস্তে, গরুর গাড়ি, গরু, মই, সহ নানান পশু পাখি আঁকা হয় সেই আলপনার উপরে মা লক্ষীকে সাজানো হয় ও পুজোর উপকরণ হিসাবে ফুল বেলপাতা সহ নানান নৈবেদ্য সাজিয়ে ভক্তিভরে পুজো জন্য তৈরি থাকেন বাড়ির মহিলারা। পুরোহিত পুজো করার পর প্রসাদ বিতরণ এরপর সেই ঠাকুরগুলো ঢাকা দিয়ে রাখা হয়। রাত্রিতে শেয়ালের ডাক শুনতে পাওয়ার পর পূজিত মা লক্ষীর মূর্তিগুলোকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয় ।এই পুজো মূলত গৃহস্থের খামারে হয়ে থাকে বর্তমানে উঠোনে হচ্ছে। এদিনের এই পূজোকে কেন্দ্র করে বাড়ির মহিলাদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায় ।এই পুজো উপলক্ষে বাসুদেবপুর গ্রামের গৃহবধূ সোমাশ্রী মন্ডল বলেন আমার শাশুড়ি মায়ের কাছ থেকে এই পুজোর শিক্ষা পেয়েছি তিনি আমাকে এইভাবে আলপনা দেওয়া শিখিয়েছেন ।ছোটবেলায় মা এই ধরনের আলপনা দিতেন তখন বসে বসে দেখতাম ও ভাবতাম একদিন হয়তো আমিও এভাবে আলপনা দেবো ও পুজোর জন্য উপোস করে বসে থাকব ।এই পুজো আমাদের ধন লক্ষ্মীর পুজো। বাবা ঠাকুরদার মুখে শুনতাম ৺বাউড়ি, মকর, এখান, এই তিনদিন কেউ কোথাও যেও না বাড়িতে বসে পিঠে মুড়ি খাও।