একদা ‘উত্তপ্ত’ লাখুড়িয়ায় শান্তির খোঁজে বসছে মঙ্গলকোটের স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
চলতি সপ্তাহে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার পুলিশ এক গুরত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী থাকলো । এবার কোন অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প নয়, লাখুড়িয়ায় স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প নির্মাণে দুই এলাকাবাসী নুতনহাট সাব রেজিস্ট্রার অফিসে জেলা পুলিশ কে ১০ শতক জায়গা দানপত্র করলেন।মঙ্গলকোট থানার আইসি মধুসূদন ঘোষ জমিদাতাদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন -” একজন সাব ইন্সপেক্টরের অধীনে এএসআই – কনস্টেবলরা থাকবেন। যাবতীয় অভিযোগ গ্রহণ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধা পাবেন সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীরা”।পূর্ব বর্ধমান জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্লক হিসাবে রয়েছে মঙ্গলকোট। এই মঙ্গলকোট একদা উত্তপ্ত হয়েছিল নকশাল আন্দোলনে। আবার বিগত বাম জমানায় একের পর এক রাজনৈতিক খুন ঘটেছিল মঙ্গলকোটে।পঞ্চায়েত সমিতির দুই প্রাক্তন সভাপতি, জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষ, সিপিএমের জোনাল নেতারা যেমন খুন হয়েছিলেন। ঠিক তেমনি বর্তমান সরকারের আমলে অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি – গ্রাম প্রধান সহ দশের বেশি ব্যক্তি খুন হয়েছেন এই মঙ্গলকোটে।রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের লড়াই অপেক্ষা অজয় নদের বেআইনী বালিলুট বিষয়টি প্রায় খুনের ঘটনার অন্তরালে মূল কারণ হিসাবে উঠে আসে তদন্তের পরিপেক্ষিতে।অজয় নদের বালিলুটেদ কোর এলাকা হিসাবে পরিচিত পশ্চিম মঙ্গলকোটের বড় এলাকা। তাই মঙ্গলকোটের ১৫ টি অঞ্চলের মধ্যে পশ্চিম দিকের ৪ টি অঞ্চল সর্বদা চাপা উত্তেজনাময় থাকে।আবার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় কোন আন্দোলন ঘটলে তার রেশ পড়ে অনেকখানি। সর্বপরি অজয় নদের ওপারে রয়েছে বীরভূমের নানুর – বোলপুর থানা এলাকা। জেলা সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় যেকোনো নির্বাচনে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়।অন্তত বিগত নির্বাচন গুলির গন্ডগোলের ইতিহাস তা জানাচ্ছে। মঙ্গলকোট থানা থেকে এইসব এলাকার সর্বোচ্চ দূরত্ব ২০ কিমির মত।তাই দ্রুত শান্তি স্থাপনে দীর্ঘস্থায়ী পদক্ষেপ নিল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। এবার থেকে লাখুড়িয়ায় পুলিশ ক্যাম্প থেকে খুব সহজেই অজয় নদের উপকূলে থাকা এইসব এলাকায় পুলিশ কর্মীরা পৌঁছে যাবেন। পুলিশ ক্যাম্প নির্মাণের কাজ চলছে জোর কদমে। এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন – ” ১৫/২০ কিমি দূরে নুতনহাটে অবস্থিত মঙ্গলকোট থানায় যেতে হত।এবার আমরা একপ্রকার ঘরের পাশেই পুলিশ ক্যাম্প পাচ্ছি।”