‘একই আবেদনের বিচার দু জায়গায় চলতে পারেনা’ : রেরার চেয়ারপার্সন
পারিজাত মোল্লা ,
সম্প্রতি ওয়েষ্ট বেঙ্গল রিয়েল এস্টেট আপিলেট ট্রাইবুনালে এক আবাসন মামলায় গুরত্বপূর্ণ নির্দেশ দেন উক্ত ট্রাইবুনালের চেয়ারপার্সন বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত।’একই আবেদনের বিচার দু জায়গায় চলতে পারেনা ‘ বলে আদেশনামায় উল্লেখ করেন বিচারপতি। জানা গেছে, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ থানা এলাকায় ( পানিহাটি – কামারহাটি) দেবদত্ত চ্যাটার্জি এবং সিদ্ধার্থ চ্যাটার্জি প্রমোটার সংস্থা মেসার্স এম এস এন্টারপ্রাইজ এর সাথে ২১০০ স্কোয়ার ফিট ফ্ল্যাটের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন।এই প্রমোটার সংস্থার পার্টনার রয়েছেন মিতা রায় ও পারভীন পন্ডিত। ২০১৫ সালে এই নির্মাণ কাজের চুক্তি হলেও প্রমোটার সংস্থা কে পাওয়ার অফ এটনি দেওয়া হয় ২০১৭ সালে।দু বছরের মধ্যে ২১০০ স্কোয়ার ফিটের ফ্ল্যাট (৩ টি) দেওয়ার চুক্তিপত্র থাকলে তা পাননি বলে অভিযোগ দেবদত্ত চ্যাটার্জি এবং সিদ্ধার্থ চ্যাটার্জির। তাই তাঁরা জেলাস্তরের ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনে অভিযোগ জানান। পরবর্তীতে ১৬/০৯/২০ তারিখে সংশোধিত ডেভলপমেন্ট এগ্রিমেন্ট ও পাওয়ার অফ এটনি সম্পাদিত হয়।এই এগ্রিমেন্ট অনুসারে তিনটি ফ্ল্যাট দেওয়ার কথা ছিল ২৪ মাসের মধ্যে।ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনে মামলা হয় ২০২৩ সালে।ওয়েষ্ট বেঙ্গল রেগুলেটরি অথরিটিতে মামলা হয় ২০২৪ সালে। ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ এবং মামলার খরচ ১ লক্ষ সর্বমোট ৬ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ চান। সেইসাথে প্রস্তাবিত জি প্লাস ৪ আবাসনে জি প্লাস ৫ হওয়ায় অতিরিক্ত ফ্ল্যাট দাবি করেন চ্যাটার্জি পরিবার। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত প্রমোটার সংস্থা মেসার্স এম এস এন্টারপ্রাইজ ওয়েস্ট বেঙ্গল রিয়েল এস্টেট আপিলেট ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ হয় এবছর । তারা ট্রাইবুনালের কাছে দাবি রাখেন – ‘একই আবেদন দু জায়গায় রাখা হয়েছে’। দুই সদস্য বিশিষ্ট ট্রাইবুনালের চেয়ারপার্সন বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন অর্ডার কপি উল্লেখ করে রায় দেন -‘ একই আবেদনের বিচার দু জায়গায় চলতে পারেনা ‘। কোন এক জায়গায় অভিযোগকারী আবাসন গ্রাহকদের যেতে হবে বলে জানা গেছে ।