আসন্ন পুরভোট নিয়ে আইনী অনিশ্চয়তা বাড়লো
মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু ,
আসন্ন পুরসভার ভোট নিয়ে তৈরি হলো আইনী অনিশ্চয়তা। মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এর ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল এই পুরভোট সংক্রান্ত মামলাটি।আগামী ডিসেম্বরে পুরভোট হবে ধরে নিয়েই প্রার্থী বাছাই শুরু করেছিল সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানাল, -‘ জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলাকালীন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে না’। এরফলে আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়ার অনিশ্চিয়তার মুখে পড়লো পুরভোট।কলকাতা পুরনিগম-সহ রাজ্যের ১১২টি পুরসভায় গত ২০২০ সাল থেকে মেয়াদহীন হয়ে পড়ে আছে । সম্প্রতি জানা যায় , বকেয়া পুরনির্বাচন দু’টি বা তিনটি ধাপে সম্পূর্ণ করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন । যার প্রথম ধাপে ভোট হবে হাওড়া এবং কলকাতায়। পরবর্তী ধাপে রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তে ভোট হতে পারে বলে প্রস্তুতি চলছিল।ধাপে ধাপে আপত্তি ছিল বিজেপির।বিজেপির তরফে প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় হাইকোর্টে দায়ের করেছিলেন জনস্বার্থ মামলা। দাখিল পিটিশনে উল্লেখ রয়েছে , ৬ মাসের বেশি সময় ধরে সব পুরসভাতেই নির্বাচন বকেয়া আছে। তাহলে শুধু হাওড়া ও কলকাতায় নির্বাচন কেন? মঙ্গলবার এই মামলাটি উঠে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই কমিশনের আইনজীবী পার্থসারথি সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, -‘ যতদিন মামলার শুনানি চলবে, ততদিন পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশ’ন। আগামী সপ্তাহে পুরভোট নিয়ে রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।উল্লেখ্য, কলকাতা পুরনিগম-সহ রাজ্যের ১১২টি পুরসভায় ২০২০ সাল থেকে নির্বাচন বকেয়া পড়ে রয়েছে। করোনার জেরে ২০২০ সালে এই নির্বাচনগুলি হয়নি। বিধানসভা ভোট এবং রাজ্যের ৭ কেন্দ্রের উপ নির্বাচন মিটতেই পুরভোট করাতে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়ায় পুরভোট করার প্রস্তুতি চলছিল। তাতে এদিনের রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের পর পুরভোটের দিনক্ষণ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি রয়েছে।