আর্থিক প্রতারণা মামলায় দীর্ঘদিনের ‘ফেরার’ কে ধরলো মঙ্গলকোট থানার পুলিশ
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয় পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের বাসিন্দা বাসুদেব গড়াই কে।সেবির মামলায় দীর্ঘ ৬ বছর ‘ফেরার’ ছিলেন বাসুদেব। আসল নাম গোপন করে, পুরাতন মোবাইল নাম্বার বাদ দিয়ে কলকাতার বাগুইআটি থানা এলাকায় সপরিবারে ছিলেন মঙ্গলকোটের আমডোব এলাকার বাসুদেব গড়াই। গত ২০১৮ সালে সেবি কর্তৃপক্ষ ব্যাঙ্কশাল আদালতে আর্থিক প্রতারণার মামলা দাখিল করে থাকে। সেই সময় থেকেই বসতভিটে আমডোব থেকে ‘বেপাত্তা’ বাসুদেব। আত্মীয়-পরিজন, বন্ধু – বান্ধব, প্রতিবেশী কারও সাথে যোগাযোগ আর রাখেনি সে।২০১৯ সালে ব্যাঙ্কশাল আদালতে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়।তারপর থেকে এই অভিযুক্তের খোঁজে ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকে মঙ্গলকোট থানায় নিয়মিত সমন আসতো।কিন্তু কে নেবে সমন? কেউ তো নেই এলাকায়। বছর খানেক ধরে ‘কেন অভিযুক্ত কে পাওয়া যাচ্ছে না’ সেই বিষয়ে মঙ্গলকোট থানার ওসি /আইসিদের কাছে ব্যাঙ্কশাল আদালতে সংশ্লিষ্ট এজলাসের বিচারক কৈফিয়ত তলব শুরু করেন। পরবর্তীতে যেটা সশরীর হাজিরার নির্দেশ জারি করা হয়।এমতাবস্থায় মঙ্গলকোটের বর্তমান আইসি মধুসূদন ঘোষ বিষয় নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন।যিনি একদা হুগলি জেলা পুলিশের অপরাধ দমনে ‘সিদ্ধহস্ত’ পুলিশ অফিসার হিসাবে খ্যাত। পুরাতন মোবাইল নাম্বার কে সামনে রেখে কল ডিটেইলস, লোকেশন ট্রাক করে সেবির মামলায় ‘ফেরার’ বাসুদেব গড়াইয়ের সন্ধান মেলে।দেখা যায় কলকাতার বাগুইআটি এলাকায় বাসুদেব নাম ভাঁড়িয়ে সপরিবারে রয়েছে। বাগুইআটির আইসি অমিত মিত্র একদা মঙ্গলকোটের ওসি পদে ছিলেন। তাই ‘ফেরার’ কে ধরতে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি পুলিশের । বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতায় দুই থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে ধরা পড়ে বাসুদেব গড়াই। শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হলে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। মঙ্গলকোট থানার আইসি মধুসূদন ঘোষ জানান -” আদালত থেকে নির্দেশ পাওয়া মাত্রই আমরা অভিযুক্ত কে পেতে তদন্ত শুরু করি।আর্থিক প্রতারণা মামলায় দীর্ঘদিন ধরে ফেরার ছিলেন অভিযুক্ত “।