আরজিকর ধর্ষণ – খুন মামলায় আমৃত্যু কারাবাস নাকি ফাঁসি?  জানা যাবে আজই

মোল্লা জসিমউদ্দিন

আজ অর্থাৎ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রয়েছে আরজিকরে ধর্ষণ খুন মামলার শুনানি। আরজি করের চিকিৎসক ছাত্রীকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। নিম্ন আদালতের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য ও সিবিআই ।একই সঙ্গে রাজ্যের এহেন আবেদনের গ্রহনযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সিবিআই। আজ অর্থাৎ শুক্রবার ওই মামলায় চূড়ান্ত রায় দেবেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ আগস্ট কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের  নারকীয় ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছিল। ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল হাসপাতালেরই তরুণী চিকিৎসককে। এই ঘটনার ৫ মাস ৯ দিন পর গত ২০ জানুয়ারি সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু  কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত।এরপরই নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালে়ঞ্জ করে সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির সাজা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানায় রাজ্য ও সিবিআই। ওই মামলাতেই শুক্রবার চূড়ান্ত রায় দেবে আদালত। নির্যাতিতার বাবা-মা অবশ্য সিবিআই তদন্তে খুব একটা খুশি হতে পারেননি। তাঁরা দাবি করে এসেছেন যে, এই ঘটনা সঞ্জয় রায়ের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। আরও অনেকে  জড়িত রয়েছে  । এই মামলার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সিবিআই মূল দোষীদের আড়াল করছে বলেও সন্দেহ করেছেন তাঁরা। এছাড়া প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের একাংশও মনে করে, এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত। কিন্তু সিবিআই জানিয়েছে , সঞ্জয় একাই দোষী। আর তাঁদের একাধিক রিপোর্টেও বলা হয়েছে যে এই কাজ কারও একার পক্ষে করা সম্ভব।আরজি কর কাণ্ডের রায় বেরোনোর আগে নির্যাতিতার বাবা-মা বলেছেন, ‘মেয়েকে হারানোর পর তাঁদের সব হারিয়ে গেছে। সত্যিই যদি অভিযুক্তরা ধরা পড়ত আর তাদের শাস্তি হত, তবে তাঁদের মেয়ের আত্মার শান্তি হত’। তাঁরা মনে করছেন, -‘সব চেয়ে বড় দোষীরাই এখনও অধরা রয়ে গেছেন’।আজ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের প্রতি তাকিয়ে গোটা বাংলা তথা আপামর বাঙালি।

Leave a Reply