আরজিকরের নির্ভয়ার পরিবারের দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করলো সুপ্রিম কোর্ট, শুনানি ১৭ মার্চ

মোল্লা জসিমউদ্দিন,  

শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আরজিকর কান্ডে নির্যাতিতা পরিবারের দ্রুত শুনানির আবেদন নিয়ে জানিয়ে দিল যে, -‘ এই মামলায় তাড়াহুড়োর প্রয়োজন নেই।’ আগামী ১৭ মার্চ নির্ধারিত দিনেই মামলাটি শুনবে আদালত।একথায় বলা যায়, আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের জরুরি শুনানির আর্জিতে সায় দিল না সুপ্রিম কোর্ট ।এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সহ সিঙ্গেল বেঞ্চে মামলা চলছে।আরজি কর কাণ্ডের ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই । কিন্তু সেই তদন্তে একেবারেই খুশি নয় নির্যাতিতার পরিবার । তাদের একটাই দাবি, -‘একা সঞ্জয় রায়ের পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয় । এই কাণ্ডের সঙ্গে আরও অনেকেই যুক্ত রয়েছে’। তাই মেয়ে সুবিচার চেয়ে প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছিলেন বাবা- মা । সেইসময় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের  তরফ থেকে জানান হয়, -‘এই মামলার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি লাগবে ‘। তারপরেই শীর্ষ আদালতে যায় নির্যাতিতার পরিবার ।উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের নারকীয় ঘটনা ঘটে । এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয় । এই ঘটনার ৫ মাস ৯ দিন পর গত ২০ জানুয়ারি সঞ্জয় রায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। আর এই রায়দানে খুশি নয় নির্যাতিতার পরিবার । এই আবহে শুক্রবার আরজি কর মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ফের ধাক্কা খেল নির্যাতিতার পরিবার।আগামী ১৭ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। নির্ভয়ার বাবা-মায়ের অভিযোগ , -‘সিবিআই  তদন্তের গতি অত্যন্ত ধীর এবং যথাযথভাবে তদারকি হচ্ছে না। মূল অপরাধীদের সুকৌশলে আড়াল করা হচ্ছে’।  পরিবারের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী করুণা নন্দী। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “সিবিআই তদন্তের ওপর কোনও তদারকি নেই। ইতিমধ্যেই দুই অভিযুক্ত ডিফল্ট জামিন পেয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হয় সুপ্রিম কোর্ট দ্রুত শুনানি করুক, অথবা কলকাতা হাইকোর্টকে নির্দেশ দিক যাতে দ্রুত শুনানি শুরু হয়।”আইনজীবীর এই কথা শুনে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, -‘এই মুহূর্তে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির প্রয়োজন নেই এবং পুনর্তদন্ত এর বিষয়েও এখনই কোনও নির্দেশ দেওয়া হবে না’ । এর আগেও গত ২৯ জানুয়ারি নির্ভয়ার পরিবারের করা একটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তখন প্রধান বিচারপতি জানিয়েছিলেন, -‘নতুন আবেদনের কিছু বিষয় অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং বিতর্কিত। এই মুহূর্তে সেই বিষয়গুলির শুনানি হলে তার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে’।সেই সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, -‘যেহেতু শিয়ালদহ আদালতের রায় আসার আগেই পিটিশন ফাইল করা হয়েছিল, তাই তারা এই মুহূর্তে বিষয়টি শুনবে না। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এবারও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ পুনরায় দ্রুত শুনানির আবেদন খারিজ করল।আগামী ১৭ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টও এই তারিখের আগে কোন কিছু নির্দেশ দেবেনা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

Leave a Reply