সাধন মন্ডল
অষ্টম বর্ষ জঙ্গলমহল উৎসব শেষ হলো বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ বুধবার ।আজ সারাদিন জঙ্গলমহল এলাকার চারটি ব্লক এলাকা থেকে প্রায় 72টি আদিবাসী নৃত্য দল ও ঝুমুরের দল হাজির হয়েছিল মেলা প্রাঙ্গণে। উৎসবমুখর হয়ে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল সারেঙ্গা মিশন ময়দান। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আদিবাসী সংস্কৃতি বিভাগের ও বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হলো যার পরিচালনায় ছিলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা রায়পুর বিধানসভার বিধায়ক মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু। আজ পায়ে পা মিলিয়ে নৃত্য করলেন সারেঙ্গা থানার আইসি সুজিত ভট্টাচার্যের স্ত্রী পুতুল ভট্টাচার্য্য ।আবেগে আপ্লুত হয়ে তিনি বললেন আজ আমি সবচেয়ে বেশি খুশি এদের সাথে হাতে হাত ধরে পায়ে পা মিলিয়ে ওদের সংস্কৃতির সাথে নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারায়। আদিবাসী সংস্কৃতি আমার খুব প্রিয় ।শহর কলকাতায় থাকায় এভাবে একসাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে যাওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি সেই সুযোগ আজ করে দিল অষ্টম বর্ষ জঙ্গলমহল উৎসব এর কর্মকর্তারা আমি এজন্য তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। খুশি আদিবাসী নৃত্য দলের মহিলারা। সোমবারী মান্ডি, শ্যামলী কিস্কু ,সুন্দরী সরেন রা বলেন আমরা আজ খুব খুশি একজন আধিকারিকের স্ত্রী আমাদের সাথে নাচ করলেন আমাদের হাত ধরে আমাদের পায়ে পা মিলিয়ে সমান পারদর্শী হয়ে ।এটা আমাদের কাছে একটা জীবনের বড় পাওনা আমরাও খুশি তাকে পেয়ে তিনি যে আমাদের এতোটা আপন করে নিতে পারলেন সেটা আমাদের কাছে অভাবনীয় একটি ব্যাপার। এ প্রসঙ্গে বিধায়ক মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু বলেন আমরা সৌভাগ্য যে এই ধরনের একজন সম্মানীয় মা কে আমাদের নৃত্য দলের সাথে নৃত্য করতে দেখে। জঙ্গলমহল উৎসব মেলা উৎসব নয় এটি একটি মিলন মেলা এখানে সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটে।