আদালতে কর্মবিরতি চললেও মাদক মামলায় হবে সাক্ষ্য গ্রহণ : ডিভিশন বেঞ্চ 

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

ফৌজদারি মামলাগুলির মধ্যে মাদক সংক্রান্ত মামলার গুরত্ব অপরিসীম। কিছু ক্ষেত্রে অভিযোগের সারবত্তা থাকে,আবার কিছু ক্ষেত্রে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অন্যতম হাতিয়ার মাদক মামলা।বছরের পর বছর জেলের ভেতরেই কেটে যায় অভিযুক্তদের। তার উপর অনেক ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতে বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘস্থায়ী সময় কাটে।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্টের তরুণ আইনজীবী রামাশিষ মুখার্জি মাদক মামলায় দ্রুত বিচারের জন্য এক গুরত্বপূর্ণ রায় নিয়ে এলেন ডিভিশন বেঞ্চ থেকে।নিম্ন আদালতে আইনজীবীদের কর্মবিরতিতে সমস্ত বিচার প্রক্রিয়া স্থগিত থাকে।যার ফল ভুগতে হয় সাধারণ বিচারপ্রার্থীদের কে।লম্বাচওড়া ‘ডেট’ পড়ে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য।  চলতি মাসের শেষের দিকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে একটি মাদক সংক্রান্ত মামলাতে অভিযুক্তর  জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলে। অভিযুক্তর আইনজীবী  শ্রী রামাশিষ মুখার্জি জামিনের  আবেদন করতে গিয়ে সাওয়াল করে জানান যে -‘ নিম্ন আদালতে  ট্রায়াল প্রক্রিয়া বিলম্ব হবার কারনে তার মক্কেল ২ বছর ৬ মাস ধরে জেলে আছেন।তার মৌলিক অধিকার বেলংঘন হচ্ছে’। এর প্রতুত্তরে সরকারি আইনজীবী বলেন -‘ নিম্ন আদালতে  একাধিক বার অভিযুক্ত আসামীর আইনজীবী হাজির হন নি’। পুনরায় অভিযুক্তর  আইনজীবী রামাশিষ মুখার্জি জানান -‘ বিভিন্ন সময় ১৬/০১/২০২৩, ১৪/০৬/২০২৩, ২০/১১/২০২৩ বারের কর্মবিরতির রেজুলেশন  থাকার কারনে সাক্ষ গ্রহন করা যায়নি, যার জন্য অভিযুক্ত  কে কোনো ভাবেই দায়ী করা যায়না।উপরন্তু বিচারের এই দেরির জন্যই তার মক্কেল আড়াই বছরের উপর জেলে বন্দী আছেন’। গত ২৫ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি পর্বে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিসন বেঞ্চ সব নথি বিচার করার পর অভিযুক্ত  কে জামিন মঞ্জুর করতে গিয়ে বারের কর্মবিরতি থাকাকালীন ফৌজদারী মামলায় বিচার প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা নিয়ে একাধিক নির্দেশিকা জারি করে থাকে  এবং পশ্চিমঙ্গের প্রত্যেকটি জেলা আদালতকে এই নির্দেশিকা পালন করার আদেশ দেয়।নির্দেশিকার মধ্যে বলা হয়েছে যে সাক্ষ গ্রহন করার সময় কোনো রকমের কর্মবিরতির কারনে সাক্ষ গ্রহন যেনো ব্যাহত না হয়। কেউ বাধা দিলে তা হাইকোর্টকে জানাতে হবে এবং  আদালত অবমাননার এর দায় পরবে।  কর্মবিরতির দিনে সাক্ষ্যের দিন থাকলে সাক্ষগ্রহন সুনিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে নির্দেশের অবমাননা হিসেবে গন্য করা হবে।এই নির্দেশিকার প্রতিলিপি কলকাতা  হাইকোর্টএর রেজিস্ট্রার জেনারেল এর  মাধ্যমে প্রত্যেক জেলার আদালত এবং বারের সভাপতি এবং সম্পাদক কে অবগত করতে বলে ডিভিশন বেঞ্চ। 

Leave a Reply