আউশগ্রামে ইথানল উৎপাদনের প্রজেক্টের কাজ চলছে
সেখ রাজু,
নিম্নচাপের প্রভাবে কমবেশি বৃষ্টি চলছে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের বেলারি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় বেলারি মৌজায় ইথানল উৎপাদনের জন্য প্রজেক্টের কাজ চলছে দ্রুততার সঙ্গে । রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের সহায়তায় স্টার্লিং ডিস্টিলার্স এল.এল.পি উদ্যোগে প্রায় ছয় মাস আগে এই প্রজেক্টের কাজ শুরু হয়েছে । প্রতিদিন প্রায় ১৫০ হাজার লিটার ইথানল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই এই প্রজেক্ট শুরু । চাল ও ধান থেকে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে এই ইথানল উৎপাদন হবে । পরবর্তী সময় পেট্রোল ও ডিজেলে মিশ্রণ ঘটিয়ে তার ব্যবহার ঘটবে । এই প্রজেক্টের ফলে উৎপাদিত ইথানল একদিকে যেমন পেট্রোল ও ডিজেল এ ব্যবহার হবে। ঠিক তেমনি আউসগ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকার গ্রামের সাধারণ মানুষ এখানে কাজ পাবে । দ্রুত গতিতে প্রজেক্টের কাজ চললেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত অনেকাংশে বাধা সৃষ্টি করছে । সরকারী নিয়ম অনুসারে মেইন রোড থেকে নির্দিষ্ট দূরে এই প্রজেক্ট সম্পন্ন হবে । সেইমতো কাজ করার ফলে প্রয়োজনীয় রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হলেও বারংবার বৃষ্টিতে ব্যাঘাত ঘটছে । ফলস্বরুপ রাস্তার উপর দিয়ে প্রয়োজনীয় মালপত্র আনার জন্য বিষম সমস্যা । নির্ধারিত শ্রমিক সম্প্রদায় কাজে অংশগ্রহণ করতে না পারায় কাজের পরিমাণে অগ্রগতি কম আছে ।প্রজেক্ট ম্যানেজার নিরঞ্জন নায়েক জানান, -” ইথানল প্রজেক্টটি সম্পন্ন হলে একদিকে যেমন ডিজেল ও পেট্রলে উপযোগী ব্যবহার ঘটবে । অন্যদিকে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে গ্রামের মানুষরা এখানে কাজ পাবে । পাশাপাশি ক্ষুদ্র কুটির শিল্প গড়ে ওঠার প্রবল সম্ভাবনা আছে । প্রায় এক বছরের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে প্রজেক্টের কাজ শুরু করলেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত অনেক কাজকে থমকে দিয়েছে । দুর্গাপুজোর পর আকাশ পরিষ্কার হলে কাজের গতি আরও বাড়বে “।প্রজেক্ট এর দায়িত্ব ও তত্ত্বাবধায়ক জাহির আব্বাস খান বলেন, -” নতুন শিল্প মানে নতুন প্রজন্মের ক্ষেত্রে সমাজকে এগিয়ে যাওয়ার এক পথপ্রদর্শক । এই শিল্প আগামী সময় সাধারণ মানুষের উপকারের পাশাপাশি উৎপাদিত পণ্য এক নতুন জাগরণ সৃষ্টি করবে । বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত কিছুটা কাজের ব্যাঘাত ঘটালেও খুব শীঘ্রই আকাশ পরিষ্কারের সাথে সাথে কাজের অগ্রগতির দ্রুততা বাড়বে” ।