‘আইকনিক প্ল্যানার হলে আইকন’-
মৃত্যুঞ্জয় রায়,
কলকাতার আইকনিক প্ল্যানার হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়, যেখানে প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক ও গায়ক রানা মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
লর্ড কৃষ্ণা স্টুডিও আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে হলটি এক সঙ্গীত জগতে রূপান্তরিত হয়।
-রানা মজুমদার কর্মজীবনের ইতি টেনে তার সঙ্গীত যাত্রা শুরু করেন, আর তারই পথ চলার প্রতিটি মুহূর্ত বলিউডের অভিজ্ঞতা এবং ভবিষ্যতের প্রকল্পগুলি গণমাধ্যমের সাথে আলোচনা করেন।
সঙ্গীতের প্রতি তার আবেগ এবং বাংলা সঙ্গীতের প্রচারে তার ভূমিকা ভাগ করে নেন।
রানা মজুমদারের সংক্ষিপ্ত প্রোফাইল অভাবনীয়- তিনি
সঙ্গীত পরিচালক – প্লেব্যাক গায়ক – এবং গীতিকার।
২০০৫-২০১০ সহকারী বলিউড সঙ্গীত পরিচালক প্রীতম, বিশাল-শেখর, এমএম এর মতো উল্লেখযোগ্য সঙ্গীত পরিচালকদের জন্য প্লেব্যাক গেয়েছেন। এছাড়া এম এম করিম, জিৎ গাঙ্গুলি, অমিত ত্রিবেদী, তানিষ্ক বাগচি, শচীন-জিগার, মিট ব্রোস অঞ্জন, রাম সম্পত, অঙ্কিত তিওয়ারি, গৌরভ দাশগুপ্ত, ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, স্যাভি, সুরজিৎ চ্যাটার্জি এবং আরও অনেক উচ্চ সন্মানীয় দের সাথে একত্রিত।
কিছু উল্লেখযোগ্য হিন্দি চলচ্চিত্রের জন্য কিছু প্লেব্যাক, যেমন –
২০০৬ সালে আপনা স্বপ্না মানি মানি, নকশা , ২০০৭ সালে হ্যাট্রিক,২০০৮ সালে জান্নাত,
২০০৯ সালে বিল্লু,এক দ্য পাওয়ার অফ ওয়ান,দিল বোলে হাদিপা,লাভ খিচড়ি,অল দ্য বেস্ট।
২০১০ সালে আজব প্রেম কি গজব কাহানি, একবার মুম্বাইতে,তোহ বাত পাক্কি,হ্যালো ডার্লিং,হেল্প।২০১২ সালে ব্লাড মানি, ২০১৩ সালে ফুক্রে,২০১৫ সালে বাচপন এক ধোকা,২০১৬ সালে ফুদ্দু,২০১৮ সালে সাহেব বিবি অর গ্যাংস্টার-3।
২০১৯ সালে মিলান টকিজ।
কিছু উল্লেখযোগ্য বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য প্লেব্যাক,-
২০১০ সালে জোশ,দুই পৃথিবী, -‘মন জে করে উরু উরু’।
২০১১ সালে পাগলু,রোমিও।
২০১২ সালে ‘বাওয়ালি আনলিমিটেড’,২০১৩ সালে ‘বস’,২০১৪ সালে ‘পতি পরমেশ্বর’,২০১৬ সালে ‘কেলোর কীর্তি’, ‘বেপারোয়া’,২০১৭ সালে ‘জল জঙ্গোল’,২০১৯ সালে ‘দাদাগিরি’।
সঙ্গীত পরিচালনা,- ফিল্মস, ওয়েব সিরিজ এবং অ্যালবাম-
২০০৭ সালে ‘লাভ স্টোরি’ (অনুরাগ বসুর একটি টিভি সিরিয়াল)।
২০১৩ সালে প্রান্ত জুরাইয়া গেল রে (অভিজিৎ ভট্টাচার্য ও রানা মজুমদারের গাওয়া একটি বাংলা অ্যালবাম)।
২০১৫ সালে অনুরাগ বসুর রবীন্দ্র ঠাকুরের গল্প (Netflix সিরিজ)।
২০১৬ সালে ফুড্ডু (হিন্দি ফিচার ফিল্ম), পরিচালক,- সুনীল সুব্রামনি।
২০১৭ সালে রাগ দেশ (হিন্দি ফিচার ফিল্ম), পরিচালক- তিগমাংশু ধুলিয়া।
২০১৮ সালে ‘সাহেব বিবি অর গ্যাংস্টার-3’ (হিন্দি ফিচার ফিল্ম),-পরিচালক- তিগমাংশু ধুলিয়া। ভাঙ্গা কিন্তু সুন্দর (আল্ট বালাজি, ওয়েব সিরিজ), পরিচালক,- সন্তোষ সিং।
বারিশ অর চৌমেইন (শুধু BGM. জি-5)। পরিচালক- তিগমাংশু ধুলিয়া।
২০১৯ সালে মিলান টকিজ (হিন্দি ফিচার ফিল্ম), পরিচালক- তিগমাংশু ধুলিয়া।
২০২১ সালে ই আমি রেনু (বাংলা ফিচার ফিল্ম), পরিচালক -সৌমেন সুর।
একক- সঙ্গীত, গান এবং গাওয়া।
২০১৫ সালে ‘আমারো পরান যাহা চাই’-
সঙ্গে অরিজিৎ সিং। সঙ্গীত সাজানো এবং সহ-সঙ্গীত- রবীন্দ্র সঙ্গীত।
২০১৯ সালে ‘বাড়ি আচ্ছে লাগেতে হ্যায়’ , অমিত কুমারের সঙ্গে পুনঃনির্মিত এবং সহ-গান।
২০১৯ সালে ‘দিল কে তাল পে’ সঙ্গীত ও সহ-গান।
২০২১ সালে ‘ফাটাফাটি’, অমিত ত্রিবেদীর সাথে গানের কথা এবং সহ-গান।
২০২১ সালে ‘মা’,:সঙ্গীত, এবং গাওয়া বাংলা গান।
২০২১ সালে ‘এক পৃথিবী’, সঙ্গীত, সুর ও গাওয়া বাংলা গান।
গানের কথা-
২০১২ সালে ‘ডামাডোল’ (বাংলা ফিচার ফিল্ম)।
২০১৪ সালে, প্রান্ত জুরাইয়া গেল রে (গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্যের বাংলা অ্যালবাম)।
২০১৪ সালে ‘কাকোলি’ (বাংলা ফিচার ফিল্ম, মিউজিক- মিট ব্রোস অঞ্জন)।
২০১৪ সালে, ‘চাই চাই তুমি আমি’ (গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্যের বাংলা অ্যালবাম)।
২০১৬ সালে ‘ঠিক বেলা তিন ঘটিকায়’ (বাংলা অ্যালবাম)।
২০১৭ সালে ‘মেরি পেয়ারি বিন্দু’ (হিন্দি ফিচার ফিল্ম। মিউজিক- শচীন জিগার)।
এছাড়াও ‘রাগদেশ’ হিন্দি ফিল্ম এ অসাধারণ সুর মানুষের মন জয় কোরে নেয়।
২০১৮ সালে ‘জলে জঙ্গোল’ (বাংলা ফিচার ফিল্ম। মিউজিক- জিৎ গাঙ্গুলী)।
২০২১ সালে ‘ফাটাফাটি’ (বাংলা একক সঙ্গীত- অমিত ত্রিবেদী)।
এছাড়াও আরো অনেক গান এবং সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি।
সাম্প্রতিক বাংলা সিনেমা ‘মৃগয়া’ র মিউসিক ডাইরেক্টর রানা মজুমদার।
“লর্ড কৃষ্ণা স্টুডিওর” -শিবু সোম রানা মজুমদারের প্রতিভার প্রশংসা করেন এবং বলেন একসময় যেমন শচীন দেব বর্মন,রাহুল দেব বর্মন,সলিল চৌধুরী যারা বাংলা এবং বোম্বের মেলবন্ধন ছিলেন তার পরবর্তীকালে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও মান্না দে আর ঠিক তার পরের উত্তরসূরী হয়ে এলেন রাহুল দেববর্মন এবং বাপি লাহিড়ী যারা সংগীতজগৎকে আলোকিত করেছিলেন। -তেমনি প্রীতম ও জিৎ গাঙ্গুলি পরবর্তী উত্তরসুরি হয়ে কাজ করে চলেছেন।
-আর এখন সাম্প্রতিককালে তাদের উত্তরসূরী হয়ে রাণা মজুমদার’ই একমাত্র যিনি বাংলা এবং বোম্বের মেলবন্ধনকে ধরে রেখেছেন।তাকে সমর্থন করার জন্য গর্ব প্রকাশ করেন।
রানা মজুমদারের মনোমুগ্ধকর সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়, যা দর্শকদের মুগ্ধ করে। সন্ধ্যাটি ছিল সঙ্গীত এবং শৈল্পিকতার শক্তির প্রমাণ।
