আইএএস অফিসারের স্ত্রীর মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি, 

 শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে উঠে এক মহিলার ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা।অভিযুক্ত প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় থানার পুলিশ গুরতর অভিযোগ লঘু করেছিল বলে অভিযোগ। ওই মহিলা  থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন।তিনি  একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার পদস্থ আধিকারিক। নির্যাতিতার স্বামীও একজন আইএএস অফিসার।রাজ্যে কর্মরত এই আইএএস আধিকারিকের স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের  বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চ লেক থানায় দায়ের করা অভিযোগ সংক্রান্ত ঘটনায় ওই নির্দেশ দিয়েছে।রাজ্যের উচ্চতর আদালত জানিয়েছে — প্রথমত, লালবাজারের মহিলা পুলিশের ডেপুটি কমিশনারকে মামলাটি তদন্তের জন্য দেওয়া হয়েছে।বর্তমান তদন্তকারী অফিসারকে তিন দিনের মধ্যে মামলার সমস্ত নথি তাঁকে হস্তান্তর করতে হবে। দ্বিতীয়ত, অভিযুক্তকে জামিন দিয়েছিল আলিপুর আদালত। ওই জামিন বাতিল করা হল। তৃতীয়ত, এই তদন্তে তথ্য বিকৃতি এবং পদ্ধতিগত ত্রুটির জন্য তিন মহিলা পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে। বিভাগীয় তদন্ত হবে লেক থানার এএসআই সুজাতা বর্মন, তিলজলা থানার এসআই কল্পনা রায় এবং কড়েয়া থানার এসআই অর্পিতা ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে – রাজ্যে কর্মরত ওই আইএএস অফিসারের স্ত্রী একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার পদস্থ আধিকারিক । অভিযোগ, গত ১৫ জুলাই রাতে এক পরিচিত ব্যক্তি তাঁদের বাড়িতে এসেছিলেন। সে সময় অন্য কেউ বাড়িতে ছিলেন না। সেই সুযোগ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভয় দেখিয়ে ওই মহিলার শ্লীলতাহানি করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। ঘটনার দিনই লেক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই মহিলা। অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছিল। তবে আলিপুর আদালত জামিন দিয়ে দেয় তাঁকে। এর পরেই কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই মহিলা।এদিন অভিযুক্ত  পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশের পাশাপাশি মহিলা ডেপুটি কমিশনার কে সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তে দায়িত্ব দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

Leave a Reply