সেখ সামসুদ্দিন, ৮ অক্টোবরঃ জামালপুরের তৃণমূলের ব্লক সভাপতির মানবিক মুখ দেখল জামালপুরবাসী। এক অসহায় প্রসূতি মায়ের পাশে দাঁড়ালেন জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি তথা জামালপুরের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মেহমুদ খান। পঞ্চমীর দিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কারালাঘাট ব্যবসায়ী সমিতির দুর্গাপুজো ভার্চুয়াল উদ্বোধন করছিলেন তখন তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেই সময় তিনি দেখতে পান অস্থায়ী একটি ছাউনিতে রয়েছেন একজন প্রসূতি মা। তিনি সেখানে এগিয়ে গেলেই এলাকার স্থানীয় মানুষ জনেরাও তাকে সেই মহিলার সমস্যার কথা জানান। এলাকার মানুষ কিছু কিছু করে আর্থিক সাহায্য করলেও তার না আছে কোন খাবার সংস্থান, না আছে ডাক্তার দেখাবার মতো ক্ষমতা। সেদিন থেকেই তিনি সেই প্রসূতি মায়ের চিকিৎসা খাওয়া দাওয়ার সবকিছুর দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নেন। স্থানীয় বাজারকমিটির লোকেদের দায়িত্ব দিয়ে আসেন মেয়েটির দেখভাল করার জন্য। কোন ত্রুটি যেন তার না হয়। সাথে সাথেই খাবার জন্য চাল এবং আলু সবজি মসলার সব ব্যবস্থা করে দেন। সেইদিন থেকেই নিয়মিতভাবে তার খোঁজখবর নিতে থাকেন তিনি। এ বিষয়ে তাকে সাহায্য করেন স্থানীয় গ্রামীণ চিকিৎসক রাশেদ হালদার ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব বাচ্চু মাঝি। ব্লক সভাপতির নির্দেশে তার অস্থায়ী থাকার জায়গাটি পরিবর্তন করে পাশেই এ্যাজবেষ্টর দিয়ে ঘর করে দেওয়া হয়। যাতে বাচ্চা হবার পর কোনরকম অসুবিধা সম্মুখীন এই মহিলাকে না হতে হয়। প্রথম পর্যায়ে নিজের মাকে নিয়ে থাকতেন ওই মহিলা । পরবর্তীতে জানতে পারার পর সভাপতি দায়িত্ব নিয়ে তার স্বামীকে ডাকিয়ে নিয়ে আসেন। নির্দিষ্ট সময় তাকে জামালপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু আজ তাকে জামালপুর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। এই খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে জামালপুর গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়ে উপস্থিত হন মেহমুদ খান। বাড়ির লোকের হাতে উপযুক্ত টাকা পয়সা দিয়ে তাদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পাঠাবার ব্যবস্থা করেন। শুধু তাই নয় যাতে আর কোন অসুবিধা না হয় সেই জন্য অ্যাম্বুলেন্সে গ্রামীণ চিকিৎসক রাশেদ হালদারবাবুকেউ পাঠান। তিনি বলেন যে মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই প্রধান কাজ যেটা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বার বার করেন এবং সকলকে করতে বলেন। তিনি জানতে পারার পরই ওই মহিলার বাচ্চা হওয়া পর্যন্ত সব দায় দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ওখানে স্থানীয় নেতৃত্ব এবং ব্যবসায়ী সমিতির মানুষদের তাকে নজর রাখার জন্য বলেন। তিনি আরো জানান তাদের থাকার জন্য ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং পরবর্তী পর্যায়েও তার কোন অসুবিধা হবে না তিনি সমস্ত বিষয়ে লক্ষ্য রাখবেন। ব্লক সভাপতির এই ভূমিকায় খুশি স্থানীয় মানুষ জন।