অর্থনৈতিক পুনর্বাসনের লক্ষ্যে স্হানীয় সংস্থার সাথে গাঁটছড়া বাঁধলো মেডিক্যাল রিহ্যাবিলিটেশন সেণ্টার
শুভ ঘোষ,
তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন এক তরুণ ইন্জিনিয়ার সঞ্জীব। এক দুর্ঘটনায় ঘাড়ে আঘাত পেয়ে সারা শরীর পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় চাকরি হারান উনি। একে পক্ষাঘাত তার ওপর বেকার ঐ যুবকের দিন কাটতে থাকে প্রচণ্ড শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে। দীর্ঘ ১০ বছর অতিক্রান্ত হবার পর সঞ্জীব স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদনও করেন। এই অবস্থায়, খবর পেয়ে মেডিক্যাল রিহ্যাবিলিটেশন সেণ্টার এর কর্তৃপক্ষ ওনাকে সেণ্টারে এনে দীর্ঘ ৮ মাস উপযুক্ত চিকিৎসার পর উনি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে না পারলেও কম্পিউটারে কাজ করতে শুরু করলেন। নিজের ও সংসারের হাল ধরতে তাঁর তখন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার খুবই প্রয়োজন। তখন এগিয়ে আসে ব্যাঙ্গালোরের এক তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা কুডজু ইনফোটেক প্রাইভেট লিমিটেড। সেখানে নিজ কর্মদক্ষতায় আজ উচ্চপদে প্রতিষ্ঠিত সঞ্জীব। আজ ২২তম প্রতিষ্ঠা দিবসে ফিজিক্যাল রিহ্যাবিলিটেশনের সাথে সাথে সঞ্জীবের মতো আরো কিছু দক্ষ মানুষকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার উদ্দেশ্যে কুডজু ইনফোটেক প্রাইভেট লিমিটেড ছাড়াও আরও কয়েকটি স্থানীয় সংস্থার সাথে গাঁটছড়া বাঁধলো মেডিক্যাল রিহ্যাবিলিটেশন সেণ্টার। প্রাথমিকভাবে, বছরে ৮ থেকে ১০ জনকে বেকারত্বের হাত থেকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যেই এই সংযুক্তি। এছাড়াও, প্যানডেমিক পরবর্তী সময়ে রোগীদের আরও ভালো পরিষেবা দেওয়ার জন্য মেডিক্যাল রিহ্যাবিলিটেশন সেণ্টার হোম সার্ভিসের পাশাপাশি জেলায় জেলায় এই ফিজিক্যাল রিহ্যাবিলিটেশনের পরিষেবা পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। এমনকি, সুন্দরবনের প্রত্যন্ত হিঞ্জলগঞ্জ এলাকাতেও নিকট ভবিষ্যতে এই সেণ্টারের শাখা চালু হতে যাচ্ছে। ২২তম প্রতিষ্ঠা দিবস স্মরণীয় করে রাখতে মেডিক্যাল রিহ্যাবিলিটেশন সেণ্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান চিকিৎসক ডাঃ মৌলি মাধব ঘটক সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত সকলের প্রয়োজনে পেন ম্যানেজমেণ্ট বা অন্য কোন ফিজিক্যাল রিহ্যাবিলিটেশনের সাশ্রয়ী পরিষেবা প্রদানের অঙ্গীকার করেন।