অর্জুন সিং বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবেনা, তবে দিতেই হবে হাজিরা : কলকাতা হাইকোর্ট
,
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে উঠে বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং এর মামলা।আদালতের নির্দেশনায় এদিন কিছুটা স্বস্তি, আবার কিছুটা অস্বস্তির মধ্যে পড়লেন অর্জুন। নৈহাটি উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ মিটলে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডির ডাকে হাজিরা দিতে হবে বিজেপি নেতা অর্জুন সিংকে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, -‘নতুন করে অর্জুন সিংকে নোটিস পাঠাবে সিআইডি’।আগামী ১৪ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় সময় তাঁকে সিআইডির দফতর ভবানী ভবনে হাজিরা দিতে হবে।ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। ভাটপাড়া পুরসভার দুর্নীতির মামলায় অর্জুনকে তলব করে সিআইডি। আগামী ১২ নভেম্বর বেলা ১১টায় তাঁকে ভবানী ভবনে হাজির হতে বলা হয়েছে।জানা গেছে , ২০২০ সালে ভাটপাড়া পুরসভায় প্রায় চার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। ওই দুর্নীতির মামলাতেই তাঁকে তলব করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান থাকার পাশাপাশি ভাটপাড়া নৈহাটি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কেরও চেয়ারম্যান ছিলেন অর্জুন সিং। সেই সময় কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।বিজেপি নেতা অর্জুন সিং তলব পাওয়ার পরেই সিআইডি নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে রক্ষাকবচের আবেদন করেন। হেনস্থার উদ্দেশ্যে মিথ্যে মামলায় নোটিস সিআইডি’র, দাবি করেন অর্জুন। সিআইডি নোটিস খারিজ এবং নিজের জন্যে রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন অর্জুন। সেইদিনই মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।এদিন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সাময়িক গ্রেপ্তারি এড়াতে পারলেও সিআইডির হাজিরায় যেতেই হচ্ছে অর্জুন সিং কে।