অভিমানিনী শ্রাবণের মেঘ
দীপশিখা পাত্র খাঁ
অভিমানিনী মেঘ,
কালো আকাশের বাতায়নে একলাটি দাঁড়িয়ে।
মুখজুড়ে ধূসর বিবর্ণতার প্রলেপ।
মন বড়ো উচাটন,
উদাসী কন্ঠ আনমনে গেয়ে উঠছে মীরা কা মল্লার
শূণ্য চোখ খোঁজে
শ্রাবণের স্নিগ্ধ সবুজাভ রূপ
যেতে চায় অবুঝ প্রেমের অভিসারে
পুবালি বাতাসের হাতে বিরহী শ্রাবণও পাঠিয়েছে
এক দীর্ঘ চিঠি।
যার ছত্রে ছত্রে ছড়িয়ে রয়েছে মনখারাপিয়া সুর
আর একরাশ হাসনুহানার গন্ধ।
অপেক্ষার অবসান শ্রাবণের চিঠিতে,
মানিনী মেঘ আজ সেজেছে সময় নিয়ে
পরিধানে তার নীল কালোর জামদানি।
আবেগে তার বাগ মানে না চোখের জল।
এ ধারাজলে চিরতরে ভিজবে
শ্রাবণের আত্মা ও মন।
এই রিমিঝিমি ও টাপুর টুপুরের পরশেই
প্রতি মূহুর্তে মরমে বেজে ওঠে আকুল সুর
আর শ্রাবণ হয়ে ওঠে নয়নাভিরাম।
বৃষ্টির টুপটাপ শব্দ ও সোঁদা গন্ধে তখন
এ চিত্ত ভাসমান দূর হতে দূর।