অবশেষে ছাড়পত্র মিলল রটন্তী পুজোর মেলার,
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,
গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে করোনার দাপট বাড়ছিল এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে যেভাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক ঐতিহ্যবাহী মেলা বাতিল হচ্ছিল তাতে ধীরে ধীরে আশঙ্কার কালো মেঘ দেখা দিয়েছিল গুসকরা পুরসভা পরিচালিত রটন্তী কালী পুজো উপলক্ষ্যে আয়োজিত মেলায়। এদিকে ধীরে ধীরে রটন্তী পুজো এগিয়ে আসছে। অথচ কেউ জানেনা শেষপর্যন্ত মেলা হবে কিনা। অবশেষে স্হানীয় বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডারের উপস্থিতিতে ১৮ ই জানুয়ারি গুসকরা পৌরসভায় আয়োজিত এক গুরুত্বপূর্ণ সভায় মেলার আয়োজন করার ব্যাপারে সদর্থক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিদ্ধান্ত হয় কোভিড বিধি মেনে এবং যতটা সম্ভব সচেতন থেকে মেলা হবে। সকলেই যাতে কোভিড বিধি মেনে চলে তারজন্য ক্রেতা-বিক্রেতা প্রত্যেককে অনুরোধ করা হবে। মেলা হবে এই খবর পেয়ে কচিকাচাদের মধ্যে যেমন আনন্দের সুর বেজে ওঠে তেমনি ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীরাও খুব খুশি।
বিধায়ক ছাড়াও এই গুরুত্বপূর্ণ সভায় উপস্থিত ছিলেন পৌর প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারপার্সন গীতারাণী ঘোষ এবং অন্য দুই সদস্য রত্না গোস্বামী ও কুশল মুখার্জ্জী, পৌরসভার বড়বাবু মধুসূদন পাল সহ অন্য আধিকারিকরা, গুসকরা ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যবৃন্দ ও কয়েকজন সম্মানীয় নাগরিক। এলাকার মানুষের স্বার্থে সকলেই মেলার আয়োজন করার ব্যাপারে একমত হন।
বিধায়ক বললেন - রটন্তী কালী পুজো উপলক্ষ্যে আয়োজিত মেলা এই এলাকার দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য। শুধু গুসকরা নয় আশেপাশের বহু এলাকার মানুষ এই মেলায় অংশগ্রহণ করে। অনেকের রুজি-রুটি এই মেলার উপর অনেকাংশে নির্ভর করে। আমরা প্রত্যেকেই চাই মেলা হোক। এমনকি আমাদের দলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জীও কিছু ছাড় দিয়েছেন। আশাকরি এলাকা তথা রাজ্যের স্বার্থে প্রত্যেকেই কোভিড বিধি মেনে চলবেন।
অন্যদিকে কুশল বাবু বলেন - ভূমিপুত্র হিসাবে এই মেলার গুরুত্ব আমি জানি। বর্তমান পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছিল এবার হয়তো আর মেলা হবেনা। কিন্তু যেভাবে আমাদের বিধায়ক এগিয়ে এলেন তাতে গুসকরাবাসী হিসাবে তার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। আশাকরি মেলায় আসা প্রতিটি নাগরিক সচেতনতার পরিচয় দিয়ে কোভিড বিধি মেনে চলবেন।