অপেক্ষায়
চিত্রা কুণ্ডু বারিক
ধরো , যদি কখনও দুজনের পথ দুদিকে বেঁকে যায়, আর কখনও যদি আর মিলিত না হয় ।
যদি কখনো সেই পথে অন্ধকার নেমে আসে ,
যদি আলো না জ্বলে ।
মনের মাঝে যদি বিচ্ছেদ ঘটে ,
জোড়া না লাগে কখনও।
শুধুমাত্র হাসি মুখে বিদায় দিতে পারবে তো হৃদয় থেকে !
আকাশে জ্বল জ্বল করে না সব তারা।
সব ঘরে জ্বলে না আলো।
সবার মুখে ফোটে না কথা।
অনেকের চোখে আজ ও অন্ধকারে ভরা ।
এক এক পথ এক একরকম।
বাঁচতে চাইলেও যায় না বাঁচা।
খেতে চাইলেও আজ ও হাহাকারের শব্দ শোনা যায়।
ওই যে রাস্তায় জন্ম নেওয়া
পথশিশুটি শীতের রাতে
চিৎকার করে কেঁদে ওঠে ,
একটুখানি গরম করা কোলের ওপর আশ্রয় পাবার আশায়।
কিছুই মেলে না তার কপালে ।
তবে কি এসে যায় দুটি পথের পথিক হলে।
জীবনে তো কতকিছু হারিয়ে যায়।
তাহলে দুটি মনের কিইবা আসে যায়?
ভালোই তো আছি দুই দিকে দুজন ।
নাই বা হলাম এক পথের পথিক ।
না হয় একদিন এই ঝড় থেমে যাবে দুটি মনের। চারটে মানুষের কাঁধের মধ্যে একটি কাঁধ তোমার পাবো,
শান্তি পাবো পথ ভিন্ন হলেও যাত্রী ছিলাম এক।
না হয় দিও দু ফোঁটা চোখের জল।
সেদিন মুছোনা যেন সেই জল।
ওটাই যে হবে আমার চির শান্তির জল।
একমুঠো মাটি ছড়িয়ে দিয়ে বলো” ভালো থেকো।” একটা গোলাপ নয়, প্রতি সন্ধ্যায় এসো দিতে।
দুটো কথা বিড়বিড় করে বলো, শুনবো ঠিক, আর দেবো শব্দহীন উত্তর।
যখন তুমি হোঁচট খাবে
বিছিয়ে দেবো ফুলের কার্পেট। একটুও লাগবে না ব্যাথা। বুঝবে তখন বেঁচে ছিলাম তোমার অপেক্ষায়।